সঙ্কীর্ণ রাস্তায় বা বাড়ানোর জায়গা নেই। যেখানে-সেখানে দাঁড় করানো টোটো। তার জন্য দুর্ঘটনাও বড় কম ঘটে না।
তবে এ বার সেই বদলানোর কথা শোনাচ্ছে কান্দি পুরসভা। শহরের নির্দিষ্ট জায়গায় এ বার টোটো স্ট্যান্ড হবে। তবে এখনকার টোটো তুলে রাস্তায় নামবে ই-রিক্সা। স্ট্যন্ডগুলিতে তার ব্যাটারি চার্জ দেওয়ারও বন্দবস্ত থাকবে। তবে পুরসভা নয়, তার খরচ যোগাবে রাজ্য সরকার। শুধু অত্যাধুনিক ই-রিক্সা স্ট্যান্ডই নয়, পুরো শহরকে সাজানো হবে। কারণ কান্দি শহর হতে চলেছে গ্রীন সিটি। তার জন্য প্রায় চার কোটি টাকা মিলেছে।
২০১৬ সালে কেন্দ্র রাজ্যের তিন শহরকে স্মার্ট সিটি ঘোষণার পরে রাজ্য ১২৯ পুরসভাকে গ্রীন সিটি করার পরিকল্পনা করে। তার মধ্যে ছিল কান্দি পুরসভাও। কান্দি শহরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়। কান্দি পুর কর্তৃপক্ষ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে প্রায় আট কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠায়। পুজোর পরে রাজ্য তিন কোটি ৮৫লক্ষ টাকা অনুমোদন করে।
ওই টাকায় শহরের সৌন্দার্য্যায়নের কাজ হবে। শিশু উদ্যান তৈরির পাশাপাশি শহররের পুকুরগুলি সংস্কার করা হবে। টোটো গাড়ি তুলে দিয়ে শহরে নামবে ই-রিক্সা। শহরের রাস্তায় বসবে অত্যাধুনিক এল ই ডি বাতি। বাজার ও প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডেই সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি চালানো হবে বলেও দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। শহরের রাস্তায় শৌচাগার তৈরি হবে। ছোট-বড় মিলিয়ে বর্তমানে শহরে তিনটি উদ্যান আছে। ওই উদ্যানগুলি সংস্কারের পাশাপাশি আরও দু’টি নতুন উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরসভা এই মুহূর্তে কংগ্রসের দখলে। পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম রায় বলেন, “রাজ্য সরকার শহরের উন্নয়নের জন্য টাকা দিচ্ছে। শহরের সৌন্দর্যায়্যনের জন্য কোটি কোটি টাকা দিতে তৈরি। কিন্তু পুরসভা এখনও ওই কাজ শুরুই করতে পারল না।” যদিও ওই পুরসভার ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায় বলেন, “টাকা এসেছে। কাজ দ্রুত শুরু হবে। বর্তমানে সমস্ত দরপত্র অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। ফলে কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। গ্রীন সিটির কাজ শুরু হলে শহরের ভোল বদলে যাবে।”