কাঁচা বাদাম শাড়ি। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
কখনও পাখি, কখনও বাহা বা টাপুর টুপুর। ছোট পর্দার জনপ্রিয় সিরিয়াল বা তাতে অভিনয় করা চরিত্রের নামে পোশাক বাজার ছেয়েছে এর আগে। বিশেষ করে পুজোর সময় এমন নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের পোশাকে ছেয়ে যায় বাজার। এ বার গ্রাম গঞ্জের পুজোর বাজার ধরতে মাঠে নেমেছে ‘কাঁচা বাদাম’ পোশাক। মূলত শাড়ি নাইটি এবং এক ধরনের ওড়না বাজার ছেয়েছে কাঁচা বাদাম নামে।
যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, আক্ষরিক অর্থে কোম্পানির ঘরে কাঁচা বাদাম লেখা কোন শাড়ি তাঁরা পাননি। বাদামের আকারে প্রিন্ট থাকা একটি শাড়িকেই ক্রেতারা ‘কাঁচা বাদাম’ শাড়ি বলেই চিনছেন এবং তাঁরা ওই নামেই চাইছেন। তাঁরাও এখন মহাজনদের ঘরে গিয়ে কাঁচা বাদাম বললেই পেয়ে যাচ্ছেন বাদামের ছবি থাকা এক ধরনের শাড়ি ওড়না নাইটি।
বছর কয়েক আগে বাহা শাড়ি ছেয়ে গিয়েছিল বাজার। এমনকি একটি সিরিয়ালের নামেও শাড়ি এসেছিল বাজারে। কিন্তু এবার পর্দা নয়, বাজার ছেয়েছে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভূবন বাদ্যকরের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের নাম ধরে। জনপ্রিয় সেই গান নিয়ে অনেক কাটা ছেঁড়া হয়েছে। দুই বাংলায় রকেটের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে সেই গান।
রানিনগরের বস্ত্র ব্যবসায়ী খালিদ মুজতবা বলছেন, ‘‘এই সময়ে কাঁচা বাদাম শাড়ির কদর চরমে। বাদামের আকার থাকা একটি শাড়িকেই ওই নামে চিনছেন মহিলারা। প্রায়ই তাঁরা দোকানে এসে বলছেন কাঁচা বাদাম শাড়ি দিন। আমরাও পুজোর আগে মজুত করেছি সেই শাড়ি।’’ ডোমকলের হরিশংকরপুরে কাপড়ের দোকান মোহাম্মদ আরিফের। তার দাবি, ‘‘কেবল শাড়ি নয়, একটি ওড়না এবং নাইটি কাঁচা বাদাম নামে বাজারে চলছে। ক্রেতারাই এসে ওই নামে এই পোশাকগুলোকে ডাকছেন, আমরাও মহজনদের কাছে গিয়ে বলছি কাঁচা বাদাম শাড়ি নাইটি ওড়না দিন।’’
কিন্তু পোশাকের গায়ে কোনও নাম লেখা না থাকলেও এ ভাবে ‘কাঁচা বাদাম’ নাম হল কী করে? ক্রেতারা বলছেন, তাঁদেরও বিষয়টি জানা নেই। মুখে মুখে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে কাঁচা বাদাম পোশাক। একজনকে দেখে আরও এক জন কিনছেন।’’