নদীয়ার কল্যাণী জেএনএম মেডিকেল কলেজ। ১৪ ই অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত।
আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে ও জুনিয়র ডাক্তারদের দশ দফা দাবির সমর্থনে এ বার নদিয়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামতে শুরু করেছেন। কর্মবিরতি থেকে শুরু করে অনশন ও গণইস্তফার ঘটনা সামনে আসছে। সরকার দাবি না মানলে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তাদের পাশে দাঁড়াতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সোমবারই ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সার্ভিস কর্তৃপক্ষের কাছে গণইস্তফা দেন কল্যাণী জেএনএমের ৭৭ জন চিকিৎসক। রবিবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ই-মেল করে গণ-ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন। এ দিন তাঁরা একে-একে সেই ইস্তফাপত্রে সই করেন। সোমবার থেকে দু’দিনের এক ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতি শুরু করেছেন কল্যাণী এমসের চিকিৎসকেরাও। আজ, মঙ্গলবারও বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন এমসের প্রায় দেড়শো চিকিৎসক। এমসের মুখপাত্র চিকিৎসক সুকান্ত সরকার বলেন, “আমরা আপাতত প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করলেও আগামী দিনে কী ধরনের পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি। আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি, ধর্মতলার মঞ্চে গিয়ে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা করব।”
রবিবারই ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি নিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) কৃষ্ণনগর শাখার ছ’জন চিকিৎসক। সকাল ৮টা থেকে কৃষ্ণনগরে জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে অনশন শুরু করেন চিকিৎসক সুজিত বিশ্বাস, যতন রায়চৌধুরী, তপনকুমার দাস, অভিজিৎ ঘোষ, সাজিদ মেমন ও আকাশদীপ ঘোষে। তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক হিসাবে অনশন কর্মসূচিতে যোগ দেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অনুপ বিশ্বাস ও সুমন চক্রবর্তী। আইএমএ-র কৃষ্ণনগর শাখা সম্পাদক অনির্বাণ জানা বলেন, “আমরা চাই সরকার দ্রুত ১০ দফা দাবি মেনে নিক। মঙ্গলবার আমরা জেনারেল বডির বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।”