প্রতীকী ছবি।
দেশে করোনার সংক্রমণ যতই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, আতঙ্কও বাড়ছে ততই। সাধারণ জ্বর হলেও মানুষ করোনা-আতঙ্কে ভুগছেন। অবস্থাটা যখন এই, তখন এলাকার কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৪ হাজার বাসিন্দাকে ভরসা জোগাচ্ছেন কাগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীরা।
ভরতপুর-২ ব্লকের কাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কাগ্রাম ছাড়াও বহড়া, ধনডাঙা, বাবলা—প্রভৃতি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে কাগ্রামেই প্রায় ১২ হাজার মানুষ বাস করেন। এছাড়া, আশপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দাও চিকিৎসার জন্য কাগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই আসেন। এমনকি, পূর্ব বর্ধমান জেলার মৌগ্রাম ও কৈগুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশও এখানে আসেন। লকডাউনের সময় গণ-পরিবহণ বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এর কারণ, কাগ্রাম থেকে সাত কিমি দূরে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসার জন্য যেতেন, এখন তাঁদের অধিকাংশই কাগ্রামে আসছেন।
ওই হাসপাতালে একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি আউটডোরে রোগী দেখেন। রয়েছেন একজন নার্স, ফার্মাসিস্ট। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবায় খুশি সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “করোনাভাইরাস আতঙ্কে সকলে কাঁপছেন। এই আবহে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চিকিৎসক নিয়মিত আসছেন। এতে গ্রামবাসীদের অনেক সুবিধা হয়েছে। তবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সর্বক্ষণের একজন চিকিৎসক থাকলে ভাল হত। গ্রামবাসীদের অসুখ-বিসুখে তাহলে আর সালারে ছুটতে হয় না।’’ নারায়ণ মণ্ডল ও হেফজুর রহমান নামে দুই গ্রামবাসী বলেন, “গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই নিম্নবিত্ত। কথায় কথায় তাদের পক্ষে সালার হাসপাতালে ছুটে যাওয়া কঠিন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারবাবুকে নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তাঁদের আর সালার ছুটতে হচ্ছে না।’’
ভরতপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের মিতালি রায় বলেন, “সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিয়মিত চিকিৎসক হাসপাতালে থাকেন। এতে বাসিন্দারা উপকৃত হচ্ছেন।’’