প্রতীকী ছবি।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি, শনিবার নবদ্বীপ চটির মাঠেই নামছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার হেলিকপ্টার। ওই মাঠেই জনসভার শেষে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করে তিনি উড়ে যাবেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে প্রস্তুতি।
গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মায়াপুর সফর বাতিলের দিনেই নবদ্বীপে শুরু হয়েছিল নড্ডার সফর ঘিরে প্রস্তুতি। সে দিন থেকেই নবদ্বীপ শহরে সভা এবং পরিবর্তন যাত্রার আয়োজনের জন্য মাঠ খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। শহরে একাধিক মাঠ দেখার পরে ভিড়, পার্কিং ইত্যাদি সব দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত চটির মাঠই বেছে নিয়েছেন জেলার বিজেপি নেতারা।
এই ‘পরিবর্তন যাত্রা’র নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নবীন চক্রবর্তীর দাবি, “নড্ডাজির সভায় যে ভিড় হবে, তত মানুষকে জায়গা দেওয়ার মতো মাঠ নবদ্বীপে নেই। কিন্ত যেহেতু এই মাঠে এক সঙ্গে একাধিক ফুটবল মাঠ আছে তাই এটাই বেছে নিতে হয়েছে।” তিনি জানান, মাঠের এক প্রান্তে হবে হেলিপ্যাড। পাশের মাঠে মূল সভাস্থল, যেখান থেকে যাত্রার সূচনা করবেন নড্ডা।
বিজেপি সূত্রের খবর, নবদ্বীপে নড্ডার কর্মসূচির পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্ঘণ্ট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ১২টায় শুরু হবে জনসভা। দুপুর ২টোয় নড্ডা নামবেন চটির মাঠে। হেঁটে কয়েকশো মিটার দূরে মূল সভামঞ্চে পৌঁছবেন। সেখানে বক্তৃতা সেরে দুপুর সাড়ে ৩টেয় ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করে ফিরে যাবেন তিনি। ‘পরিবর্তন যাত্রা’র রথ এগিয়ে যাবে অন্য গন্তব্যের দিকে। পরের ১৮ দিন ধরে সেটি বিজেপির সাংগঠনিক বিভাগ নবদ্বীপ মণ্ডলের বিভিন্ন জেলার বিধানসভা ছুঁয়ে যাবে।
বিজেপি জেলা নেতৃত্ব আপাতত সবচেয়ে বেশি ভাবিত গাড়ির পার্কিং নিয়ে। চটির মাঠে সেই অর্থে কোনও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। নবদ্বীপের বিভিন্ন দিকে চার-পাঁচটি মাঠে তাঁরা গাড়ি রাখার কথা ভেবেছেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে কর্মমন্দিরের মাঠ, তেমনই আছে পশ্চিমে বাবলারি পঞ্চায়েত লাগোয়া ভাগাড়ের মাঠ, উত্তরে জাতীয় বিদ্যালয়ের মাঠ ইত্যাদি। বিজেপির এই তোড়জোড় দেখে শাসকদল তৃণমূলও কিন্তু একেবারে চুপ করে বসে নেই। প্রস্তুতি চলছে বড় মাপের পাল্টা সভার। ইতিমধ্যেই চটিরমাঠের চারপাশে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
নবদ্বীপের পুর প্রশাসক বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমাদের কাউকে দেখে কিছু করতে হয় না। নবদ্বীপের মানুষ আমাদের সঙ্গে বিশ বছর ধরে আছেন। এমনিতেই আমাদের জনসভার প্রস্তুতি চলছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই সেই সভা হবে। আসতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়।”
অন্যদিকে পরিবর্তন যাত্রার রুট প্রসঙ্গে নবীন চক্রবর্তী জানিয়েছেন শনিবার নবদ্বীপ থেকে বেরিয়ে পরিবর্তন যাত্রা বিকেল ৫টায় ধুবুলিয়া হয়ে ৬টায় বেথুয়াডহরী পৌঁছাবে। ওইদিন ওখানেই রাত্রিবাস। পরদিন অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু করে পলাশীপাড়া দুর্গাবাড়ি হয়ে ১২টায় পৌঁছাবে দেবগ্রাম। দুপুর ১.৩০ মিনিটে পলাশীর প্রান্তর পার হয়ে পৌঁছে যাবে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদ।