AIIMS

Kalyani AIIMS: এমসে নথিপত্র দিতে এসেছেন, রোখা হল চাকরিপ্রার্থীদের পথ

ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের এক নেতার বিরুদ্ধে যেমন অভিযোগ রয়েছে, অনলাইন প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২২ ০৯:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

এমসে ঠিকাদার সংস্থায় নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে এসে স্থানীয় কিছু লোকজনের বাধার মুখে পড়লেন হুগলি থেকে আসা দু’জন চাকরিপ্রার্থী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এমসে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থায় ইন্টারভিউয়ের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে সোমবার হুগলির হরিপাল এবং ডানকুনি থেকে দু’জন তরুণ-তরুণী আসেন। কিন্তু এ দিন ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত না হওয়ায় স্থানীয় কিছু লোকজন তাঁদের ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী বলে ধরে নেন। কাগজপত্র জমা দিয়ে বেরোনোর মুখে তাঁদের আটকানো হয়। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ বাধাদানকারীদের কাউকেই পায়নি বলে জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, দুই চাকরিপ্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েই গিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধএ তাঁরা কোনও অভিযোগও করেননি। তবে কারা তাঁদের আটকেছিল সে সম্পর্কে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।

গত কয়েকমাসে এমসে নিয়োগ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজে নেওয়ার দাবিতে মূল ফটকের সামনে অবস্থান শুরু হয়। পরে সেখানে অবৈধ ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কয়েক জন সাংসদ ও বিধায়কের। তার মধ্যে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষও রয়েছেন। এই নিয়ে কল্যাণী থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। সেখানে চাকদহের বঙ্কিম ঘোষ ছাড়াও বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার নাম দেওয়া হয়েছে। সেই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। কিন্তু সোমবার হাইকোর্ট আবার জানিয়েছে কল্যাণী এমসে তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।

Advertisement

শুধু রাজনৈতিক যোগসাজশই নয়। এমসে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ ইতিমধ্যে জমা পড়েছে। তার মধ্যে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের এক নেতার বিরুদ্ধে যেমন অভিযোগ রয়েছে, অনলাইন প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে। কল্যাণীর এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার থেকে জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক জন ধরা পড়লেও এই জাল বহু দূর বিস্তৃত এবং অভিযোগ না হলেও আরও অনেকে ফেঁসেছেন বলে পুলিশের ধারণা।

এই পরিস্থিতিকে এমসে ঠিকাদার সংস্থায় নিয়োগ নিয়ে সার্বিক সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এ দিনের ঘটনা তারই ফলশ্রুতি বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। আবার স্থানীয় লোকেদেরই নিয়োগের দাবিতে কেউ সক্রিয় হয়েছিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেন, “কোনও পক্ষই এই নিয়ে অভিযোগ করেনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement