High Price of Fishes

জামাইষষ্ঠীতে চড়া মাছ-মাংস, নাগালে লিচু 

অন্যদিকে দেশি মুরগি গোটা বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৭০ টাকা কেজি। দেশি রুই, কাতলা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ০৮:১৯
Share:

ফলের বাজার। হরিহরপাড়ায়। বুধবার। ছবি মফিদুল ইসলাম

আজ জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের আপ্যায়নে পাতে চাই-ই চাই রকমারি ফল, মিষ্টি, মাছ, মাংসের রকমারি পদ। তবে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির আঁচ পড়েছে আমজনতার পকেটে। জামাইষষ্ঠীর আগের দিন জেলার বিভিন্ন বাজারে চড়া আনাজ থেকে মাছ, মাংস। গত কয়েক দিনের তুলনায় দাম বেড়ে গিয়েছে। তাতে টান পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেটে। তবে অনেকেই আসা করছেন, এই দরবৃদ্ধি কেবলই কয়েক দিনের জন্য। অনেকে রবিবার পর্যন্ত জামাইষষ্ঠী করবেন। তার পরে দর আবার নেমে আসবে বলে আশা।

Advertisement

বুধবার বহরমপুর, রঘুনাথগঞ্জ, হরিহরপাড়া, কান্দি সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে পোলট্রি মুরগির মাংস বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। রঘুনাথগঞ্জ বাজারে এ দিন খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৬৫০ টাকা কেজি। বহরমপুর, হরিহরপাড়া, ডোমকলের বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকা কেজি। আলমগীর খান নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেন, "গত কয়েক দিন ধরেই পোলট্রি মুরগির মাংসের দাম চড়া। জামাইষষ্ঠীর বাজারে পোলট্রি মুরগি হোক কিম্বা খাসি কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।"

অন্যদিকে দেশি মুরগি গোটা বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৭০ টাকা কেজি। দেশি রুই, কাতলা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আকৃতি ও ওজন অনুযায়ী এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। কখনও তেমন মাপের হলে আঠারোশো টাকা কেজি। গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

Advertisement

জামাইষষ্ঠীর বাজারে তপ্ত আনাজের বাজারও। রঘুনাথগঞ্জ, হরিহরপাড়া, বহরমপুর, কান্দির বিভিন্ন বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। টম্যাটো, ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। আনাজের কারবারিরা বলছেন, "বেশ কিছু দিন ধরেই আনাজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। জামাইষষ্ঠীর বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে।"

জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরেই ব্যস্ততা বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। রকমারি মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত ময়রারা। সুখেন রানু নামে এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বলেন, "দুধের দাম বৃদ্ধির কারণে ছানার দাম বেড়েছে। জামাইষষ্ঠীতে দই, মিষ্টির দাম না বাড়লেও কয়েক মাস ধরে দই, মিষ্টির দাম কিছুটা বেড়েছে। দু'দিন ধরে দই, মিষ্টির চাহিদাও রয়েছে। জামাইষষ্ঠীর সকালেও ভিড় হবে আশা করছি।"

মাছ, মাংস, আনাজের দাম চড়া হলেও জেলার বাসিন্দাদের স্বস্তি দিয়েছে আম, লিচু। হিমসাগর, রানি আম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। অন্যান্য আম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। রঘুনাথগঞ্জ, ফরাক্কার বিভিন্ন বাজারে লিচু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় একশোটি।

অন্যদিকে হরিহরপাড়া, বেলডাঙা, ডোমকল, বহরমপুর, কান্দির বিভিন্ন বাজারে লিচু বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। হরিহরপাড়ার বাসিন্দা নবকুমার সাহা বলেন, "জামাইষষ্ঠীতে মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনিরা বাড়িতে আসবে। ফলে কেনাকাটা করতেই হচ্ছে। মরসুমি ফল বাদে সব জিনিসপত্রের দাম চড়া। পকেটের পরিস্থিতি ভেবে কেনাকাটা করতে হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement