নিহত আইটিবিপি কনস্টেবল মাসাদুল রহমানের পরিবার। —ফাইল চিত্র।
ক্ষোভ কমছে না বিলকুমারীর মধ্যপাড়া গ্রামে। এখনও ক্ষুব্ধ নিহত জওয়ান মাসাদুল রহমানের পরিজনেরাও।
মাসাদুল ও তাঁর পাঁচ সহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) তরফে বার বার বিবৃতি পরিবর্তনে তাঁরা অসন্তোষ চেপে রাখতে পারছেন না। গত বুধবার সকালে ঘটনার পরেই বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পি বুধবার জানিয়েছিলেন, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে আত্মঘাতী হয়েছেন মাসাদুল। তার আগে গুলি চালিয়ে মেরে ফেলেছেন পাঁচ সহকর্মীকে।
বৃহস্পতিবার গ্রামে দেহ আসে মাসাদুলের। সেদিন সন্ধ্যায় আইটিবিপি-র জনসংযোগ আধিকারিক বিবেককুমার পাণ্ডে টেলিফোনে আনন্দবাজারকে জানান, আত্মঘাতী হননি মাসাদুল। সহকর্মী সুরজিৎ সরকারের চালানো গুলি তাঁর বাঁ বগলের নীচ থেকে পাঁজর ভেদ করে চলে যায়। বিবেক বলেন, ‘‘কোনও একটি বিষয়ে প্রবল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছিল মাসাদুল ও সুরজিতের। তার জেরে পাশে বসে থাকা অন্য এক সহকর্মীর হাত থেকে একে-৪৭ ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালাতে থাকেন মাসাদুল। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালান সুরজিৎ। এই গুলির লড়াইয়ে তাঁরা দু’জনেই মারা যান এবং লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় আশপাশে থাকা আরও চার জওয়ানের। কিন্তু এ কথা মানতে চাইছেন না মাসাদুলের বাড়ির লোক, এমনকি গ্রামবাসীদের অনেকেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইটিবিপি কর্তৃপক্ষের এমন বিবৃতি বদলে তাঁরা ক্ষুব্ধ।
মাসাদুলের মেজ ভাই মিজানুর রহমান ও ছোট ভাই মাজারুল রহমান সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা বলেন, ‘‘সঠিক তদন্ত ছাড়া বারবার বিবৃতি বদল করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে ভাইকে ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরী হচ্ছে। প্রথমে তাকে ঘাতকের তকমা দেওয়া হল, আবার পর দিন বলে দেওয়া হল দু’ জনের ঝগড়ায় মাসাদুল আগে গুলি চালিয়েছে। এর অর্থ কী?’’ তবে এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে পরিজনেরা জানান, এখনও অনেক কিছু দেখা ও শোনা বাকি আছে। তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।