ছটে আজ শব্দদানব পরাস্ত করাই চ্যালেঞ্জ

যদিও প্রশাসনের একাংশের মতে, এ বারের কাজটা কালীপুজোর থেকে অনেক সহজ। কারণ, কালীপুজোয় জেলাজুড়ে বিভিন্ন জাতির, বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেন ও বাজি পোড়ান। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে টানা নজরদারি দরকার।

Advertisement

সুস্মিত হালদার ও সৌমিত্র সিকদার 

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪২
Share:

ছটের পসরা। শুক্রবার রানাঘাটে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

শব্দবাজির মোকাবিলায় মহালয়ার দিনই কার্যত এক গোল খেয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। নিয়মের তোয়াক্কা না-করে সে দিন বাজির কান ফাটানো আওয়াজ শোনা গিয়েছিল রানাঘাট, কৃষ্ণনগর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মুখ পুড়েছিল আইনরক্ষকদের। বাজি ফেটেছিল দুর্গাভাসানেও। ফলে কালীপুজো ছিল প্রশাসনের অগ্নিপরীক্ষা। সম্মানরক্ষায় আপ্রাণ ঝাঁপিয়েছিলেন কর্তারা। আগে থেকে নজরদারি, তল্লাশি, নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা, বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রভৃতি শুরু হয়েছিল। ফলও মিলেছিল। শব্দদানবকে বোতলবন্দি করতে পেরেছিলেন তাঁরা। এ বার তাঁদের সামনে শব্দবাজি রোখার আরও এক চ্যালেঞ্জ উপস্থিত। তা হল ছটপুজো।

Advertisement

যদিও প্রশাসনের একাংশের মতে, এ বারের কাজটা কালীপুজোর থেকে অনেক সহজ। কারণ, কালীপুজোয় জেলাজুড়ে বিভিন্ন জাতির, বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেন ও বাজি পোড়ান। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে টানা নজরদারি দরকার। তুলনায় ছটপুজো প্রধানত একটি বা দু’টি রাজ্যের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এবং কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জেলার নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতেই তাঁদের বসতি। ছটপুজোর শোভাযাত্রার রাস্তাও নির্দিষ্ট। কোন কোন ঘাটে পুণ্যার্থীরা সমবেত হন তা-ও প্রশাসন ও পুলিশের জানা। তাই শব্দবাজি আটকানো তুলনায় সোজা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কৃষ্ণনগর বা শান্তিপুরে ছট পুজো হলেও রানাঘাট শহরে ছট পুজোর ধুমধাম সবচেয়ে বেশি। শহরের পূর্ব এবং পশ্চিমপাড়ে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের প্রচুর মানুষের বসবাস। রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের আনুলিয়া, হবিবপুর-সহ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও তাঁদের সংখ্যা বেশি। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁরা পুজো নিয়ে মেতেছেন। গত বছরেও রানাঘাটের একাধিক ঘাটে ছট পুজোর সময় এবং শোভাযাত্রা চলাকালীন শব্দবাজির দাপট দেখা গিয়েছে। এ বছর তা রুখতে পুলিশ-প্রশাসন মরিয়া। রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার ভিআরএস অনন্তনাগ বলেন, “রানাঘাট, চাকদহ, শান্তিপুর, কল্যাণী-সহ কয়েকটি জায়গায় ছট পুজো হয়। সব জায়গায় নজর রাখা হচ্ছে। আশা করছি, এ বার শব্দবাজি বন্ধ করা যাবে।” কল্যাণীতেও ছট পুজোয় শব্দবাজি রোখার চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছেন পুলিশ কর্তারা। কাছে। কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটে ছট পুজো হয়। সেখানে পুলিশ প্রহরা থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ কর্তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement