সময়ে লেখা শেষ করা খুব জরুরি

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। এটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা। তার আগে একটু ভয়, একটু টেনশন খুব স্বাভাবিক। তবে আমি বলব, সেটাকে খুব বেশি প্রশ্রয় দেওয়ার দরকার নেই। ভয় বা টেনশন করলে পরীক্ষা খারাপ হতে পারে।

Advertisement

আবির রায় (গত বছর মুর্শিদাবাদে মাধ্যমিকে প্রথম)

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪১
Share:

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। এটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা। তার আগে একটু ভয়, একটু টেনশন খুব স্বাভাবিক। তবে আমি বলব, সেটাকে খুব বেশি প্রশ্রয় দেওয়ার দরকার নেই। ভয় বা টেনশন করলে পরীক্ষা খারাপ হতে পারে।

Advertisement

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে জলের বোতল, স্কেল, ঘড়ি ও লেখার জন্য খানচারেক পেন নিয়ে নেবে। সঙ্গে হোয়াইটনার থাকলে খুব ভাল হয়। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরে আগে ভাল ভাবে পড়ে নেবে। তার পরে লেখার খাতায় খুব ভাল ভাবে নিজের নাম, অ্যাডমিট দেখে রোল নম্বর লিখবে।

যদি কোনও কারণে ভুল হয়, তা হলে সেখানে কাটাকুটি না করে হোয়াইটনার ব্যবহার করে ঠিক করে লিখে দেবে। নাম-রোল নম্বর লিখতে গিয়ে অনেকেই ভয় পায়। চিন্তার কোনও কারণ নেই। পরীক্ষার হলে মাস্টারমশাইরা থাকেন। তাঁরাই বলে দেবেন, কী করে নাম, রোল নম্বর লিখতে হয়। তার পরে খাতার সবক’টি পাতার উপরে ও বাঁ দিকে দাগ টেনে নাও। তবে হ্যাঁ, লেখার জন্য কালো কালি ব্যবহার করাই ভাল। হাতে ঘড়ি তো থাকছেই। সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করা কিন্তু খুব জরুরি।

Advertisement

আর একটা কথা বলব, এখন পরীক্ষার ক’দিন অনেকেই রাত জেগে পড়াশোনা করে। আমিও তাই করতাম। কিন্তু ওই আধ ঘণ্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট পড়তাম। তার পরে পাঁচ থেকে দশ মিনিট বিশ্রাম নিতাম। ফলে যেটা আমি পড়তাম সেটা খুব ভাল ভাবে মনে থাকত। পরীক্ষার হলে শেষের দিকে তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে কমবেশি সকলেরই হাতের লেখা একটু খারাপ হয়। তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। সব মিলিয়ে একটা কথাই বলব, অযথা ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দাও। দেখবে সব মনে আছে। লিখতেও পারছ। শুভেচ্ছা রইল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement