—প্রতীকী চিত্র।
বহরমপুরের মৃত চিকিৎসক অনির্বাণ দত্তের বর্তমান স্ত্রী, শ্বশুর শাশুড়িকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার অনিমেষ মুখোপাধ্যায় বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে অনির্বাণের শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে অনির্বাণের বর্তমান স্ত্রী অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্বশুর শান্তব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অনির্বাণের কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, কে মৃত্যুর শংসাপত্র দিয়েছে, তাঁর মৃতদেহের ময়না তদন্ত কেন করা হয়নি এমন নানা বিষয়ে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে।
বুধবার অনির্বাণের প্রাক্তন স্ত্রী শর্মি চট্টোপাধ্যায় বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে অনির্বাণের বর্তমান স্ত্রী, শ্বশুর শাশুড়ি, অনির্বাণের শ্বশুরের পরিচিত ও বন্ধু এবং মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বিভাস কুণ্ডুসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ১২ পাতার লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন অনির্বাণের সৎ মা হাসি দত্ত, অনির্বাণের মামাতো ভাই সোমনাথ ঘোষ এবং সাগরদিঘির আসলাম পারভেজ নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ পাওয়ার পরে বহরমপুর থানার পুলিশ খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। অনির্বাণের শ্বশুর শান্তব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিন পুলিশ যা যা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল সব জানিয়েছি।’’
অনির্বাণের মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হোমিওপ্যাথ বিভাস কুণ্ডুর বিরুদ্ধে কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনে অভিযোগ করেছে ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর ফোরাম।