২১ জুলাই এর ডাক। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে শক্তিনগর হসপিটালে। ১৯ জুলাই ২০২৩। ছবি : সুদীপ ভট্টাচার্য।
তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ সমাবেশে যাওয়াকে কেন্দ্র জেলার বিভিন্ন জায়গায় দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। কল্যাণী, হরিণঘাটা, তেহট্ট এলাকায় দলের ভিতরে পরস্পর-বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা সমাবেশে আলাদা ভাবে কর্মী-সমর্থক নিয়ে যাচ্ছেন। এতে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় দলীয় নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তেহট্টে তৃণমূলের দুই কট্টর বিরোধী গোষ্ঠী বিধায়ক তাপস সাহা ও টিনা ভৌমিক সাহা-পন্থীরা ২১ জুলাইয়ের সভায় সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে যাচ্ছন বলেই খবর। বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “আমার সমস্ত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে টিনার গ্রুপের কথা আমি বলতে পারব না।” টিনাকে ‘‘পরে ফোন করছি’’ বলে ফোন কেটে দেন। টিনার শিবিরের এক নেতার কথায়, “দিদি মনে হয় আগেই চলে গিয়েছেন কলকাতায়।’’
কল্যাণী শহরে তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতিও আলাদা-আলাদা ভাবে কর্মী সমর্থক নিয়ে যাচ্ছেন ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে। কল্যাণী শহরের প্রাক্তন শহর সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় ওরফে টিঙ্কু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর জায়গায় শহর সভাপতির পদে আসেন তাঁর প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত বিপ্লব দে। টিঙ্কু শুধু বলেন, “এ বারও হাজার পাঁচেক মানুষ নিয়ে যাব।” বিপ্লব দে-ও আলাদা ভাবে প্রায় চার হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।