Dhulian

খুনের পরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তপ্ত শহর

খোদ তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের অভিযোগ, ‘‘এই ঘটনায় পুলিশ যদি সময়ে ব্যবস্থা নিত তাহলে এই মৃত্যু এড়ানো যেত। যারা এই হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও শহরে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ওসির প্রশ্রয়ে তাদের এই বাড়বাড়ন্ত।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫৪
Share:

শুনশান: ধুলিয়ান। নিজস্ব চিত্র।

সাত সকালে গুলিতে এক ব্যক্তির খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী বিবাদ ফের চরমে উঠল ধুলিয়ানে। তবে এমন দুঃসাহসের পিছনে শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে গোটা শহর। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা আনারুল হকের ভাই সহ তার লোকজন এই হামলা করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। আনারুল অবশ্য এদিন স্পষ্ট বলেছেন, “যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অন্যায়। আমার ভাই যদি জড়িত থেকে থাকে সেও শাস্তি পাবে। কিন্তু এদিনের ঘটনায় পরিকল্পিত ভাবে বিধায়ক আমিরুল ইসলাম রাজনীতি করছেন।”

Advertisement

আনারুল জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাইপো। শহর জুড়ে এই খুনের ঘটনায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে বুঝতে পেরে এদিন খলিলুর ঘটনার তীব্র নিন্দে করেছেন। তিনি বলেছেন, “মৃত ব্যক্তির পরিবার নিরীহ, ভাল মানুষ বলেই জানি। যারা গুলি, বোমা নিয়ে হামলা চালিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ।”

বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম সকলেই সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, ধুলিয়ান শহরের মধ্যে বোমা, পিস্তল নিয়ে জমি মাফিয়াদের হামলা চালানোর খবর পেয়ে দু ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ যখন জমির মালিকানার এক দাবিদার গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছেন। ৮ জন মানুষ বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত। সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে বোমা ও গুলির তাণ্ডব চলছে, এক প্রতিবেশী ফেসবুকে হামলার লাইভ ছবি দেখাচ্ছেন, গোটা এলাকার মানুষ সে ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও থানা থেকে বেরই হননি ওসি, এমনটাই অভিযোগ নিহত ইমরান আলির ছেলে মোবাসসরের।

Advertisement

মোবাসসরের কথায়, ‘‘থানায় একাধিক বার ফোন করা হয়েছে। কোনওবার বলেছে এখনই যাচ্ছি, কোনওবার বলা হয়েছে থানায় ফোর্স নেই। প্রায় দু ঘন্টা পরে এক এএসআই এর নেতৃত্বে সিভিক কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে গুলিবিদ্ধ বাবাকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়েছে।’’

খোদ তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের অভিযোগ, ‘‘এই ঘটনায় পুলিশ যদি সময়ে ব্যবস্থা নিত তাহলে এই মৃত্যু এড়ানো যেত। যারা এই হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও শহরে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ওসির প্রশ্রয়ে তাদের এই বাড়বাড়ন্ত।’’ ওসি অমিত ভগত অবশ্য বলছেন, “যা বলার বলবেন উচ্চপদস্থ কর্তারা।”

জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলছেন, “শমসেরগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এসডিপিও ও সিআই সবটা দেখছেন। অভিযুক্তরা কেউ ছাড় পাবেন না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement