প্রতীকী ছবি।
বঙ্গধ্বনি যাত্রাতেও চাপা রইল না দলের কোন্দল। জনসংযোগেও শাসক দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব কমার কোনও লক্ষণ দেখা গেল না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের মধ্যে বিবাদ ছিলই। সম্প্রতি সাংগঠনিক রদবদলের পর দলের মধ্যে সেই বিবাদ আরও প্রকট হয়েছে। দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অনেকেই। আবার দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা যাচ্ছে না অনেককেই। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির ধন্যবাদজ্ঞাপক পদযাত্রা আয়োজিত হল। সেখানে দলের একাধিক বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি, জেলা নেতৃত্বদের দেখা গেলেও অনুপস্থিত থাকলেন কেউ কেউ। ছিলেন না শঙ্কর সিংহ, অজয় দে-রা। শান্তিপুরে সোমবার বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির ধন্যবাদজ্ঞাপক পদযাত্রা ছিল। সেখানে বিধায়ক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠেরা উপস্থিত থাকলেও পুর প্রশাসক অজয় দে এবং একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকলেন। শান্তিপুরে দলের সাম্প্রতিক রদবদলের পর দল এবং যুব সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বিধায়ক অরিন্দম ঘনিষ্ঠদের হাতেই। এর পরে দলের একাধিক কর্মসূচিতে অজয় বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি শান্তিপুর শহরে বঙ্গধ্বনির পদযাত্রা করেছেন পুর প্রশাসক অজয়। সেখানে অবশ্য ছিলেন না বিধায়ক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠেরা। এর পরে সোমবারের কর্মসূচিতেও নেই অজয়। বিধায়ক অরিন্দম বলেন, “এই কর্মসূচি দল থেকেই সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
এর আগে ফুলিয়ার কর্মিসভায় রদবদল নিয়ে নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি শঙ্কর সিংহ। এর পরে আর দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এ দিনের কৃষ্ণনগরের মিছিলেও ছিলেন না শঙ্কর। ছিলেন না অজয়ও। অজয় বলেন, “এ দিন কৃষ্ণনগরে দলের কর্মসূচির বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।” ফোনে পাওয়া যায়নি বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে।
বীরনগরেও দলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দারকেও। দলের রদবদলে সম্প্রতি গোবিন্দ ঘনিষ্ঠকে সরানো হয়েছে পদ থেকে।
সব মিলিয়ে যে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিকে সামনে রেখে জনসংযোগে নেমেছিল শাসক দল সেখানেও স্পষ্ট হল নানা জায়গায় দলের বিভাজন। জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো অর্ডিনেটর দীপক বসু বলেন, “দলের সকলেই একজোট হয়ে লড়াই করছেন।”