Inner conflict

তৃণমূলের জেলা বৈঠকে নেই নেতারা  

জেলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না দলের অধিকাংশ প্রভাবশালী বর্ষীয়ান নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না দলের অধিকাংশ প্রভাবশালী বর্ষীয়ান নেতা। জেলা কমিটির পদাধিকারীদের পাশাপাশি বিধায়কদেরও ওই বৈঠকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাঁদের হাত ধরে এই জেলায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠালাভ, বৈঠকে তাদের অনুপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, নতুন জেলা কমিটি তৈরি হওয়ার পরে বর্তমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবীণদের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেটাই যে চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ডাকা এই বৈঠকে দেখা গেল না রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহ, তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, চাকদহের বিধায়ক কথা মন্ত্রী রত্না ঘোষেদের। উপস্থিত ছিলেন না শান্তিপুরের প্রবীণ নেতা অজয় দে-ও। তাঁরা না আসায় প্রথম থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, মুখে যে কারণই দেখান না কেন, ওই নেতারা আসলে ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেলেন এই সভা।

যদিও বর্ষীয়ান নেতারা যে যাঁর মতো অনুপস্থিতির কারণ জানিয়েছেন। গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় সময় করে উঠতে পারিনি।” উজ্জ্বল বিশ্বাসের বক্তব্য, “কল্যাণীতে একটি সরকারি মেলার উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকে যেতে পারিনি।” কল্লোল খাঁ বলেন, “আমি কল্যাণীর মেলায় ছিলাম উজ্জ্বলের সঙ্গেই। সেই কারণে উপস্থিত থাকতে পারিনি। রত্নাও ছিল আমাদের সঙ্গে।” ফোনে পাওয়া যায়নি রত্না ঘোষকে। জেলা কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা, শান্তিপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “আমার বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি থাকায় যেতে পারিনি।” পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাও বঙ্গধ্বনি যাত্রায় ব্যস্ত থাকার কথাই জানিয়েছেন। আর শঙ্কর সিংহ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি।

Advertisement

কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস দলের বর্তমান জেলা কমিটির চেয়ারম্যান। বিধানসভা ভোটের আগে দলের জেলা বৈঠকে কেন এলেন না এত জন নেতা-বিধায়ক? উজ্জ্বল বলছেন, “বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় কেউ-কেউ আসতে পারেননি। আমাদের আবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। যাঁরা আসতে পারেননি, তাদের সঙ্গে পরে বসে নেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement