প্রতীকী ছবি।
জিতলেই ফের তিনি তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন। বোর্ড গড়তে সব রকম ভাবে সাহায্য করবেন তৃণমূলকে। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ভোটারদের এ কথা স্পষ্টই জানিয়ে দিচ্ছেন জঙ্গিপুরের নির্দল প্রার্থী শান্তা সিংহ।
তিন তিন বার কংগ্রেস থেকে জিতে জঙ্গিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শান্তা ২০১৮ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই থেকেই তৃণমূলে জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলামের অনুগামী হিসেবে কাজ করে আসছেন তিনি। ভরসা ছিল এবারে তৃণমূল থেকে মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু মোজাহারুলের মতো তৃণমূলের টিকিট পান নি তিনিও।
আর তার জেরেই এবারে নির্দল প্রার্থী হয়ে নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে পড়েছেন শান্তা। প্রতীক সূর্য নিয়ে। এমনকী চাপ দিয়ে তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করে আত্মগোপন করেন রঘুনাথগঞ্জের এক বাড়িতে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
এই ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন নিবেদিতা সিংহ। ২০১৫ সালে এই ওয়ার্ড থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন নিবেদিতার স্বামী কৌশিক সিংহ। ৫৫০ ভোটে কৌশিক হেরেছিলেন শান্তার কাছে। ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ স্থানে ছিলেন কৌশিক। এ বারের নির্বাচনে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে স্ত্রী নিবেদিতাকে। দলীয় রাজনীতিতে নিবেদিতা বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গেই রয়েছেন বরাবর। সেই সূত্রেই শান্তাকে সরিয়ে দলের প্রার্থী তালিকায় সহজেই স্থান করে নিয়েছেন নিবেদিতা। এলাকায় প্রচারেও নেমে পড়েছেন শুরু থেকেই।
শান্তা বলছেন, “তৃণমূল কাকে প্রতীক দিয়েছে সেটা কোনও ব্যাপারই নয়। এলাকার বেশির ভাগ তৃণমূল কর্মীই আমার সঙ্গে। সাধারণ মানুষও তৃণমূল বলেই জানে আমাকে। দল টিকিট না দিলেও তৃণমূল কর্মীরাই চেয়েছিলেন আমি দাঁড়াই। তাই দাঁড়িয়েছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ভালবাসি। তার প্রতি ভালবাসার কথা জানিয়ে তার ছবি নিয়েই প্রচার করব। এতে আশ্চর্য হওয়ার তো কিছু নেই। ভোটে জিতে আমি তৃণমূলকেই সমর্থন করব। প্রচারে বেরিয়ে আমি ঢাক পিটিয়েই সে কথা বলছি।’’
শান্তা সিংহের এই প্রচারে কিছুটা বিস্মিত তৃণমূল প্রার্থী নিবেদিতা সিংহ। বলছেন, “তৃণমূল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলের প্রতীক দিয়েছে। দেওয়ালে, সংবাদ মাধ্যমে সর্বত্র প্রচার হয়েছে আমি তৃণমূল প্রার্থী। এলাকার মানুষকে বোকা ভাবেন কেন তিনি? এ সব প্রচার করে কোনও লাভ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর পর কোনও সম্পর্ক থাকে কী করে? এ সব বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য করছেন। জেতার পর তিনি কী করবেন সেটা তো পরের কথা। আগে জিতুন তো?”
রবিবার দলের কর্মীদের নিয়ে একটি জাকির হোসেন বলেন, “দলে থেকে যারা নির্দল দাঁড়িয়েছে তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তৃণমূলের।’’