—প্রতীকী ছবি।
শুরু হয়েছিল আগেই। শনিবার ভরদুপুরে ফের বুলডোজারের দাপট দেখল বহরমপুর। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শহরের প্রাণকেন্দ্র বহরমপুর থানা সংলগ্ন বেশ কিছু অবৈধ নির্মাণ। কড়া পুলিশি প্রহরায় শনিবার দুপুর থেকে চলে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ। দোকানদারদের বিক্ষোভ প্রাথমিক ভাবে কিছুটা বেগ পেতে হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা। খতিয়ে দেখে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছো পুরসভা।
শনিবার সকালে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় যানজট কাটানোর জন্যে বহরমপুর পুরসভা অগস্ট মাস থেকে বারবার নোটিস পাঠাতে থাকে জবরদখলকারী ব্যবসায়ীদের। যখন কোনও রকম সুরাহা মেলেনি, সেই সময় অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে তৎকালীন মহকুমা শাসক প্রভাত চট্টোপাধ্যায় তত্ত্বাবধানে সমস্ত শহর জুড়ে প্রায় ১০০টির উপর অবৈধ ভাবে তৈরি হওয়া দোকান বুলডোজ়ার নামিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন এলাকা। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বহরমপুর রেল স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথে বহরমপুর পুলিশ থানার আগে প্রায় ১৫টি মতো স্থায়ী এবং অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়েছিল। বেশির ভাগ খাওয়ার হোটেল বা ছোট ছোট সাইবার ক্যাফে। যেখানে হরদম ভিড় থাকত থানায় আসা মানুষের এবং বাইরে থেকে আসা মানুষদেরও। থানা থেকে ঢিল ছোড়ার দূরত্বেই এই সমস্ত দোকান। পাকা একতলা দোকান, মেঝে সানমাইকার এ ছাড়াও ভিতরে রাখা বড়বড় জেরক্সের মেশিন। একপ্রকার সাজানো গোছানোই ছিল এই সমস্ত দোকান।
স্থানীয় দোকানদার সফিউল শেখ বলেন, ‘‘আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি এক জনের কাছ থেকে এই জায়গাটি কিনেছিলাম। সেই সময় সে দাম নিয়েছিল ছয় লাখ টাকা। আমাকে কাগজ দিয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, এটা সরকারের জায়গা। কেউ কিছু বলেনি, এত দিন তাই কোনও রকমের চিন্তা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ সকালে এসে এইটা দেখব, সেটা বুঝতে পারিনি।’’