আইসার কলকাতার মেঘনাদ সাহা অডিটোরিয়ামে চন্দ্রযান-৩ লাইভ টেলিকাস্ট। নদিয়ার হরিণঘাটার মোহনপুর ক্যাম্পাস। ছবি: অমিত মণ্ডল।
মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আইসার কলকাতা এবং এমসের মোহনপুর ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও শিক্ষকেরা।
দু’টি প্রতিষ্ঠানই নিজেদের অডিটোরিয়ামে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ দেখার জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছিল। এমসে বিকাল থেকেই অডিটোরিয়ামে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষকরা জমায়েত হতে থাকেন। অন্য দিকে আইসার কলকাতা কর্তৃপক্ষ ও আইসারের সেন্টার অব এক্সসেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্স, ইন্ডিয়ার উদ্যোগে মেঘনাদ সাহা অডিটরিয়ামে বড় পর্দায় অবতরণ দেখানোর আয়োজন হয়েছিল। সাড়ে তিনশো আসন পুরোপুরি ভর্তি হয়ে যায়। প্রায় পাঁচশো ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
আইসারে সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর আগে সেখানে ইসরোর চন্দ্রযান ১ ও ২ এবং বিভিন্ন মিশন নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা করা সূর্য ও সৌরঝড় নিয়ে ইসরোর মিশন ‘আদিত্য মিশন’ নিয়েও। এ দিন দেশের স্বপ্নপূরণ নিয়ে সেন্টার অব এক্সসেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্স, ইন্ডিয়া-র বিভাগীয় প্রধান দিব্যেন্দু নন্দী বলেন, “এই রকম একটা কঠিন কাজ আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারত করে দেখাল। এর জন্য কৃতিত্ব ইসরোর প্রাপ্য। একটা ব্যর্থতা থেকে উঠে এসে সাফল্য পাওয়া! এটা মুখের কথা নয়! আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী স্পেস সায়েন্স নিয়ে কাজ করেন। এই সফল মিশন থেকে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিপুলপ্রেরণা পাবেন।”