স্কুল ঘেরাও। — নিজস্ব চিত্র
দাবি মানা না হলে স্কুল বন্ধ থাকবে এই দাবি তুলে প্রাথমিক স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন একদল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা। ফলে সারাদিন বন্ধ রইল স্কুল। শিকেয় পড়ুায়াদের পঠনপাঠন। স্কুলে শিক্ষকেরা এসে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান।
শনিবার জলঙ্গির সাদিখাঁড়দেয়ার এলাকার নওদাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।
শুক্রবারও স্কুলের শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ওই দিন একদল মহিলা গিয়ে স্কুল থেকে পড়ুয়াদের বের করে দেন।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের দাবি, স্কুলে মিড-ডে মিল চালু হওয়ার পর থেকে ওই স্কুলে এলাকার ৩২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা পালা করে রান্না করে আসছিলেন। আচমকা বিডিও নির্দেশ দেন, মাত্র তিনটি গোষ্ঠীর মেয়েরা রান্না করতে পারবেন।
পয়লা ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে সেই নির্দেশ কার্যকর হয়। তাতে ক্ষুব্ধ হন বাদ পড়া গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের দাবি, আগের মতো সব গোষ্ঠীর মেয়েরা যেমন কাজ করছিলেন তেমন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
শুক্রবার ২৯টি গোষ্ঠীর মহিলারা জড়ো হন। দুপুর ১২টা নাগাদ স্কুলে এসে ছাত্রদের বের করে দিয়ে শিক্ষকদের আটকে রেখে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষকদের মুক্ত করেন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নওদাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৯০ ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক আছেন চার জন। এই ছাত্রছাত্রীদের রান্নার দায়িত্ব সামলায় ৩২টি গোষ্ঠীর মহিলারা।
একটি গোষ্ঠীর রাঁধুনি মর্জিনা বিবি জানান, সেই শুরু থেকে ৩২টি গোষ্ঠী এক মাস করে পালা করে রান্না করে আসছেন। হঠাৎই বিডিও কেন ওই নির্দেশ দিলেন বুঝতে পারেছে না।
যদিও বিডিও সাধন দেবনাথের দাবি, সম্প্রতি ওই গোষ্ঠীর মহিলাদের ডেকে নথিপত্র চাওয়া হয়। তাতে মাত্র তিনটি গোষ্ঠীর মেয়েরা সব নথি ঠিকঠাক জমা দেন। তাই তাদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়া গোষ্ঠীর মেয়েদের অভিযোগ, গোষ্ঠীর নথি যদি ঠিক নাই থাকে তা হলে বছরের পর বছর তাঁরা কি ভাবে কাজ করে এলেন। সাদিখাঁড়দেয়ার অঞ্চলের গোষ্ঠীর নেত্রী ফউজিয়ারা বানুর অভিযোগ, ‘‘আমরা আমাদের দাবি থেকে সরছি না।’’