ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যভাগ বিতর্কে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা বলে বিতর্ক আগেই উস্কে দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। দুবের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বৃহত্তর অংশকে প্রস্তাবিত অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করে বৃহত্তর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরের দুই বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সুব্রত মৈত্র। মঙ্গলবার ওই দুই বিজেপি বিধায়কের ‘ঠ্যাং ভেঙে’ দেওয়ার হুমকি দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ‘মুখে নয়, পারলে কাজে করুক’ পাল্টা হুঁশিয়ারি সুব্রতর। বিজেপি-তৃণমূল ‘গট আপ’ বলে সরব সিপিএম নেতা সন্দীপন দাস।
মঙ্গলবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবির প্রেক্ষিতে দুই বিজেপি বিধায়ককে সরাসরি হুমকি দেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের দুই বিজেপি বিধায়ক বড্ড আস্ফালন দেখাচ্ছেন। অনুরোধ করছি শুধরে যান, না হলে আগামী দিনে দুই বিধায়ককে জেলাতে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেব। যদি তার পরেও বাড়াবাড়ি করেন উল্টো করে টাঙিয়ে রাখা হবে।” তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বহরমপুরে বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলেই আমরা আতঙ্কিত। এর আগে, কেটে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, আজ বলছেন উল্টো করে টাঙিয়ে মারা হবে। বার বার কথায় না বলে, পারলে সেটা উনি কাজে করে দেখান।” বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “রাজ্যে জিহাদি শাসন চলছে। তালিবানি কায়দায় রাজ্য চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যদি মুখ্যমন্ত্রী কোনও রকম ব্যবস্থা না নেন তা হলে রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে, এ কথা আর কেউ বিশ্বাস করবেন না।”
বিজেপি ও তৃণমূলের বিধায়কদের আকচা-আকচি নিয়ে মুর্শিদাবাদের সিপিএম নেতা সন্দীপন দাস বলেন, “ আসলে রাজ্যের ভেঙে পড়া অর্থনীতি ও কেন্দ্রের ভাঁওতাবাজি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি-তৃণমূল নিজেদের মধ্যে গট-আপ গেম খেলছে।”