West Bengal Panchayat Election 2023

ক্ষুব্ধ মনেই অভিষেকের সঙ্গী হুমায়ুন

মঙ্গলবার ডোমকলের অভিষেকের হ্যালিপ্যাডে শাওনি ও হুমায়ুনকে দেখা গেল পাশাপাশি। তবে দু’জনেই দূরত্ব রেখেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ০৫:৫৩
Share:

ডোমকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে শাওনি সিংহরায় ও হুমায়ুন কবীর। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার ডোমকলে কর্মসূচি ছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে দেখা গেল ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকেও। হুমায়ুন এ দিনই বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে যে সভার ডাক দিয়েছিলেন, তা পরে বাতিলও করে দেন। কিন্তু তাঁর ক্ষোভ যে রয়েছে, এ দিনও তা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে। হুমায়ুন বলেন, ‘‘দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সভা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী দলের অপূর্ব সরকারের মাধ্যমে আমার কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। তাই সভা স্থগিত করা হল।’’ তবে তাঁর দাবি, ‘‘২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে তাঁরা কথা দিয়েছেন। তাই আমরা সভা স্থগিত করলাম। সমস্যার সমাধান না হলে তৃণমূলে থেকে কীভাবে আন্দোলন করে শুদ্ধিকরণ করতে হয় তা জানি।’’ শাওনি সিংহরায়ের অপসারণের দাবিতেও অনড় হুমায়ুন।

Advertisement

কিন্তু মঙ্গলবার ডোমকলের অভিষেকের হ্যালিপ্যাডে শাওনি ও হুমায়ুনকে দেখা গেল পাশাপাশি। তবে দু’জনেই দূরত্ব রেখেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। বরং শাওনির অনুগামী টিংকু মণ্ডল ও হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ মহম্মদ আমিনুলের সঙ্গে প্রায় হাতাহাতির উপক্রম হয়। এমনকি উত্তেজিত টিংকুর দিকে ধেয়ে গেলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও। তবে শেষ পর্যন্ত দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে মিটে যায় বিষয়টি।

সম্প্রতি পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দলের চার বিধায়ক, রবিউল আলম চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, সাহিনা মমতাজ খান ও হুমায়ুন কবীর। সাহিনা অসুস্থ। তিনি ছাড়া বাকি তিন বিধায়কই এ দিন ডোমকলে ছিলেন। হরিহরপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের নিয়ামত শেখ বলেন, ‘‘শুধু ওই চার জন বিধায়ক নন, প্রতিটি ব্লকেই বিধায়কদের সঙ্গে ব্লক সভাপতিদের একটি বিভাজন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব এ জন্য দায়ী। কেন দলকে এ ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে? কেন ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের আলাদা আলাদা ভাবে ৫০ শতাংশ করে টিকিট ভাগ করে দেওয়া হবে? বিধায়কের ক্ষমতা ব্লক সভাপতি হাইজ্যাক করে নিচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মদতে। জেলার এই শীর্ষ নেতৃত্বের বদল চাই।’’ তবে নিয়ামতও এ দিন অভিষেকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এ দিন দলেরই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের একটি মন্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হুমায়ুন। ফিরহাদ সম্প্রতি জেলায় বলেছিলেন, মাথার উপর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি চলে গেলে সবাই ফাঁকা। হুমায়ুনের বক্তব্য, ‘‘সেটা ফিরহাদ হাকিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উনি কালীঘাটের খুব নিকটে বসবাস করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা তাঁর মাথার কাছ থেকে সরে গেলে তাঁর অস্তিত্ব থাকবে না। ফিরহাদ হাকিম সাহেবকে বলছি আপনি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমি ৭৪ হাজার ২০০ ভোট পেয়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়াই, আমার নিজের ছবি দিয়ে। কাজেই ফিরহাদ হাকিম সাহেবের ক্ষেত্রে সে কথা প্রযোজ্য। হুমায়ুন কবীরের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রযোজ্য নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement