ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এক রকম চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে শাওনি সিংহরায়কে এবং দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপূর্ব সরকারকে সরাতে হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন হুমায়ূন। তবে ক্ষমা চাইলেও তিনি যে নির্দলদের হয়ে ভোটের ময়দানে লড়াই করবেন সে কথা এ দিন যেমন জানিয়েছেন, তেমনই আগামী ২৭ জুন বহরমপুর স্টেডিয়ামে জনসভার ডাক দিয়েছেন। হুমায়ূনের কথায়, ‘‘সেই সভায় দলের অবহেলিত, বঞ্চিত, অপমানিত নেতাকর্মীরা থাকবেন।’’
বুধবার সকালে সালারে তাঁর অনুগামী দলের প্রতীক পাওয়া এবং প্রতীক না পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন হুমায়ুন। মিছিল শেষে বিধায়ক কার্যালয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘‘গতকাল যে ভাবে আমি রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভে, রাগে চ্যালেঞ্জ করে বসেছিলাম, আলটিমেটাম দিয়েছিলাম ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শাওনি সিংহরায়কে দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরাতে হবে ও অপূর্ব সরকারকে অপদার্থ চেয়ারম্যান বলেছিলাম, আপনাদের মাধ্যমেই আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ঔদ্ধত্যপূর্ণ রাগের বশে কথা বলার জন্য। ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’’ হুমায়ুন বলেন, ‘‘অবহেলিত প্রতীক না পাওয়া কর্মীদের পাশে থাকব। তাঁদের হয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হব। ফল ঘোষণার পরে নেত্রীর কাছে যাব। নেত্রী যা বলবেন সেটাই শেষ কথা।’’ তাঁর দাবি সভায় ‘‘আমার বিশ্বাস ৫০ হাজার মানুষ হবে।’’
শাওনি বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো আগেই দলের যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যাহার করার কথা বলেছিলাম। যত বড়ই নেতা হোন না কেন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়লে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। আমরা তালিকা তৈরি করছি রাজ্যে পাঠানোর জন্য।’’ তাঁর কথায়, ‘‘২৫ বছর ধরে এই জেলায় রাজনীতি করছি। আমার বিরুদ্ধের দুর্নীতির কোনও কলঙ্ক নেই। আমরা সম্মান আছে, পরিবার আছে। যে ভাবে সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। আমি চাই দল আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগেরও তদন্ত করুক।’’ ২৭ জুন হুমায়ুনের সভা ঘোষণা প্রসঙ্গে শাওনি বলেন, ‘‘কে বিন তুঘলকের মতো কী বলে দিল, তাতে আমাদের যায় আসে না। ভোটের সময় এ ভাবে বকলমে কংগ্রেস, বিজেপির শক্তি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছে।’’ দলের চেয়ারম্যান অপূর্ব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি পদার্থ না অপদার্থ কী দেখে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন জানি না। বিধানসভায় খোঁজ নিয়ে নেবেন।’’