—প্রতীকী চিত্র।
নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই যাত্রিবাহী বাসটিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। বাসের বাঙ্কার থেকে দু’টি ব্যাগ ও একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল প্লাস্টিকে মোড়া তিনটি প্যাকেট। সেগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল ২১ কেজি গাঁজা। গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানা এলাকার বহরমপুর-করিমপুর রুটের একটি যাত্রিবাহী বাসে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কানাইলা কার কালিগঞ্জ নাচেরিপাড়ায় সন্দেহজনক বাসটি পৌঁছতেই সেটিকে থামিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকেরা। বাসে সমস্ত যাত্রীকে বসিয়ে রেখে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তল্লাশি চলাকালীন বাঙ্কার থেকে উদ্ধার হয় তিনটি সন্দেহজনক ব্যাগ। ব্যাগগুলি খুলতেই সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্লাস্টিকে মোড়া তিনটি গাঁজার প্যাকেট। বাজেয়াপ্ত করা হয় গাঁজার প্যাকেটগুলি। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাঁজার মোট ওজন ২১ কেজি। পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সাহাবুল মণ্ডল নামে জলঙ্গি থানার সরকারপাড়া এলাকার এক ব্যক্তিকে।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, জলঙ্গির সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই এই গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উন্নতমানের গাঁজার এই প্যাকেটগুলি রেলপথে বহরমপুরে পৌঁছয়। সেখান থেকে সড়কপথে যাত্রিবাহী বাসে আনা হচ্ছিল জলঙ্গিতে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভেস্তে যায় পাচারকারীদের পরিকল্পনা।