বালতির ভিতর থেকে পাওয়া গিয়েছে গাঁজা।
একের পর এক সাজানো প্লাস্টিকের বালতি। আপাত ভাবে দেখে মনে হবে ফেরিওয়ালা। কিন্তু সন্দেহের বশে সেই ফেরিওয়ালাকে আটক করে বালতি পরীক্ষা করতেই চক্ষু চড়কগাছ হল পুলিশের। বালতির ভিতর থেকে উদ্ধার হল ১৫ কিলোগ্রামের বেশি গাঁজা। ওই কাণ্ডে ২ ফেরিওয়ালাকে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার নবদ্বীপ রোড স্টেশন চত্বরে।
সুপারহিট ছায়াছবি ‘পুষ্পা’য় নায়ককে দেখা গিয়েছিল দুধের ট্যাঙ্কারের নীচে চন্দনকাঠ লুকিয়ে পাচার করতে। ঠিক সে ভাবেই সাধারণ প্লাস্টিকের বালতির ভিতরে লুকোনো হয়েছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মোতাবেক সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ নবদ্বীপ রোড স্টেশন এলাকায় ফাঁদ পাতে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কিছু ক্ষণ বাদে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী একটি বাস থেকে নামেন ২ যুবক। তাঁদের সঙ্গে ছিল ছোট, বড় নানা আকৃতির প্লাস্টিকের বালতি। এক ঝলক দেখে তাঁদের মনে হবে সাধারণ ফেরিওয়ালা। সেই দুই যুবককে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ বালতি থেকে উদ্ধার হয় গাঁজা। ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম পিন্টু দাস এবং শুভঙ্কর পাল। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা অসম থেকে গাঁজা নিয়ে নবদ্বীপ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এ নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে।’’ এর আগেও বেশ কয়েকটি গাঁজা পাচারের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন পাচারকারীরা। প্রতি ক্ষেত্রেই জড়িয়েছে নবদ্বীপের নাম। পুলিশের মতে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে গাঁজা পাচারের অন্যতম করিডর হয়ে উঠেছে নবদ্বীপ। আবারও গাঁজা পাচারচক্রের সঙ্গে নাম জড়াল নবদ্বীপের।