College Admission

ভর্তির পোর্টালে আবেদন কম

বিদ্যালয়গুলি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়াদের ফোন করে যে তথ্য পেয়েছে তা চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১০:১৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরনোর প্রায় দেড় মাস পরে গত ১৯ জুন কলেজে স্নাতকে ভর্তির কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টাল চালু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালে আবেদনের গতি কম দেখে উচ্চ শিক্ষা দফতর রাজ্যের সমস্ত সরকারি, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিকে প্রতিটি পড়ুয়াকে ফোন করে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বিদ্যালয়গুলি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়াদের ফোন করে যে তথ্য পেয়েছে তা চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। কেউ আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা করতে চাইছেন না, কেউ বা স্থানীয় স্তরে কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, কেউ বা কাজের সন্ধানে কেরলে পাড়ি দিয়েছে। আবার কেউ কেউ ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে ভিন্ রাজ্যে চলে গিয়েছে, কেউ বা নার্সিং বা প্যারা মেডিক্যাল পড়ার জন্য ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন বলে বিভিন্ন বিদ্যালয় জেলা শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট পাঠিয়েছে। শুক্রবারই মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা দফতর উচ্চ শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তবে মুর্শিদাবাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘‘বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা দফতরের। তাই আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’

Advertisement

আজ রবিবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টাল চালু থাকার কথা। কিন্তু ২৯ জুন পর্যন্ত দেখা যায় রাজ্যে এবারে যত পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে তার ৫০ শতাংশ ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালে আবেদন করেছেন। বিষয়টি নজরে আসতেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের কর্তাদের টনক নড়ে। ভর্তির আবেদন এত কেন কম তা জানতে সমীক্ষার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা দফতর। রাজ্যের ২৪ টি জেলার ৬৪৩৫ টি সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬৫৭ টি বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে আলাদা ভাবে ফোন করে অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালে আবেদন না করার কারণ জানতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সেই সব কারণগুলিত গুগুল সিটে রিপোর্ট আকারে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উচ্চ শিক্ষা দফতর বিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ ছিল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে নীচের কলমগুলি পূরণ করতে হবে। ১) আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা করতে আগ্রহী নন। ২) ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। ৩) ইতিমধ্যে রাজ্যের ভিতরে অভিন্ন পোর্টাল ছাড়া অন্য কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। ৪) ইতিমধ্যেই রাজ্যের বাইরের কেন্দ্রীয় পোর্টাল ছাড়া অন্য কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। ৫) শীঘ্রই আবেদন করবেন। ৬) কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টাল সম্পর্কে সচেতন নন। ৭) অন্যান্য। মুর্শিদাবাদের একাধিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, অনেকে ফোন ধরছেনও না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement