আলুর খোঁজে লম্বা লাইন।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। মাসখানেক আগে যে আলু ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার অধিকাংশ এলাকায় তা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বুধবার আবার সেই আলু জেলার অধিকাংশ জায়গায় ৪২-৪৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। যার জেরে যে সব এলাকায় কৃষি বিপণন দফতর সরকার নির্ধারিত ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছে সেখানে লম্বা লাইন পড়েছে। বুধবার সকাল থেকে বহরমপুরে স্টেডিয়ামের কাছে সুফল বাংলার স্টলে আলু কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়েছিল। এ ছাড়া বহরমপুরের ভাকুড়ি কৃষক বাজার, নবগ্রাম কৃষক বাজার, কান্দি রেগুলেটেড মার্কেট, জঙ্গিপুরের ওমরপুরে রেগুলেটেড মার্কেট, শমসেরগঞ্জ কৃষক বাজার, সুতির দফরপুর কৃষক বাজারে কৃষি বিপণন দফতরের আলুর স্টলে লোকজন ভিড় করেছিলেন। প্রশাসনের দাবি, এই সব জায়গা থেকে প্রতিদিন ২০০ কুইন্টাল করে আলু বিক্রি হচ্ছে।
আলুর দাম ক্রমশ বাড়লেও বাজারগুলিতে প্রশাসনের নজরদারি না থাকার অভিযোগ উঠেছে। যদিও মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সৌম্য ভট্টাচার্য, ‘‘প্রশাসনের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়া আলুর বাজারদরের সঙ্গে সমতা আনতে কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির জন্য স্টল খোলা হয়েছে।’’
আলুর এত দাম কেন? পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্যের কোর কমিটির সদস্য বরেণ মণ্ডল বলেন, ‘‘গত বছর এমনিতেই আলুর উৎপাদন কম হয়েছিল। তার উপরে এবছর ভিন রাজ্যের আলু বীজের দাম বেশি হওয়ায় অনেক চাষি হিমঘরে থাকা আলু বীজ হিসেবে জমিতে বসাচ্ছেন। যার জেরে আলুর দাম বেড়েছে। তবে মাস খানেকের মধ্যে নতুন আলু উঠবে। ফলে দামও কমে যাবে।’’
বহরমপুরের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী তথা হিমঘরের মালিক রামচন্দ্র ভকত বলেন, ‘‘এদিন আলুর পাইকারি বাজার দর ছিল ৩৫টাকা। তা ৪০ টাকায় বিক্রি হতে পারে। কিন্তু ৪৫ টাকা নেওয়া উচিত নয়।’’