আবার কবে হুঁশ ফিরবে ওঁদের

বহরমপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে র‌্যালি, গাড়ি চালকদের সচেতন করা-সহ নানা পদক্ষেপ করা হয়। আর সে দিন দুপুরেই বহরমপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে এক পুলিশকর্মীকে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালাতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৮
Share:

নিয়ম ভাঙাটাই যেন নিয়ম: বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

দুর্ঘটনা রুখতে তিন বছর আগে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা হয়েছিল ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। আর তা কার্যকর করার দায়িত্ব ছিল পুলিশ-প্রশাসনের উপর। আর সেই পুলিশকর্মীদের অনেকেরই মাথাতেই এখনও হেলমেট ওঠেনি। হেলমেট ছাড়া এখনও বহু পুলিশকর্মীকে মোটরবাইক চালাতে দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, আইনরক্ষকেরাই যদি সচেতন না হন তা হলে সাধারণ মানুষ কী শিখবেন?

Advertisement

২০১৬ সালের ৮ জুলাই ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। সোমবার সেই কর্মসূচির তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দিনটি পালন করা হয়েছে। বহরমপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে র‌্যালি, গাড়ি চালকদের সচেতন করা-সহ নানা পদক্ষেপ করা হয়। আর সে দিন দুপুরেই বহরমপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে এক পুলিশকর্মীকে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালাতে দেখা গিয়েছে। তার দু’দিন আগে বহরমপুরে মোহনের মোড়ে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে আর এক পুলিশকর্মীকে।

অভিযোগ, শুধু ওঁরাই নন, আরও অনেকের মতোই পুলিশের কিছু লোকজনকেও হেলমেট ছাড়াই ঘুরতে দেখা যায়। তবে পুলিশের দাবি, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির ফলে কিছুই হয়নি এমনটা নয়। মুর্শিদাবাদে দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। গত দু’বছর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা দুর্ঘটনা কমানোর নিরিখে রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে প্রায় ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে। ২০১৯ সালেও দুর্ঘটনা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচির কারণেই দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হয়েছে। হেলমেট পরার প্রবণতাও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আর যাঁরা হেলমেট পরছেন না তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

পুলিশের হিসেব বলছে, গত বছর শুধুমাত্র হেলমেট না পরার জন্য মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার মোটরবাইক আরোহীর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। পুলিশের দাবি, কোনও বাইক আরোহী হেলমেট না পরলে, বাছবিচার না করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে অনেক সময় হেলমেট না পরার কারণে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও কথা শুনতে হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা যাতে হেলমেট পরেন সেই জন্য দু’দিন আগে নওদা থানার পক্ষ থেকে ৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে হেলমেট তুলে দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘নিয়ম নিয়ম। পুলিশকর্মীরা তার বাইরে নন। তাঁদেরকেও হেলমেট পরতে হবে।’’

কিন্তু সে কথা কি তাঁরা শুনছেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement