দানার দাপটে জলদি আমন ধান গাছ খেতে লুটিয়ে পড়েছে। ছবি: কৌশিক সাহা।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে দূরে সরিয়ে গত দুদিন দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে সামান্য। যার ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা। জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মাত্র ৪.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে শুক্রবার দিনভর মুর্শিদাবাদে আকাশ থাকলেও এদিন সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের এক পশলা বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া ছিল। কান্দিতে দুপুরের পর থেকে মাঝেমধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে দেখা গিয়েছে। দুপুর যত গড়িয়েছে মেঘের ঘনঘটা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এলাকায়।
এমনিতেই ঝোড়ো হাওয়ার কারণে খেতে থাকা জলদি আমন ধানের গাছ জমিতে শুয়ে গিয়েছিল। এ দিন ‘দানা’র কারণে যেটুকু ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে তাতে ধানের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষিদের কথায় সময়ের পরিবর্তন হয়েছে, এমন সময় ধান খেত থেকে তুলে আলু চাষ করার সময়।
‘দানা’র কারণে এলাকায় যতটুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতে ধানের ক্ষতি তো হচ্ছেই সঙ্গে জলদি আলু চাষ এক ধাক্কায় অনেকটা সময় পিছিয়ে গিয়েছে বলেও চাষিদের দাবি।
এই বৃষ্টির কারণে খেতের মাটি যে ভাবে ভিজে গিয়েছে তাতে ওই মাটি শুকিয়ে আলু চাষের উপযোগী মাটি তৈরি করতে আরও সপ্তাহ দু’য়েক সময় লেগে যাবে বলেও দাবি আলু চাষিদের।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) চিরন্তন প্রামাণিক বলেন, "বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত খুব কম হয়েছিল। শুক্রবারেও প্রায় কুড়ি মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেখানে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়েছে। শনিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আর ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই মুর্শিদাবাদে।’’