Encephalitis

অগত্যা ট্রাক্টরেই গেলেন টিকা দিতে

শেষে নিরুপায় হয়ে একটি ট্রাক্টর ভাড়া করে ফেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই ট্রাক্টরে উঠে টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছন তাঁরা।

Advertisement

মৃন্ময় সরকার

রানিতলা  শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ০১:২০
Share:

নিজস্ব চিত্র।

ধর্মঘটের কথা অজানা ছিল না ওঁদের। কিন্তু এক দিকে চলছে জাপানি এনসেফালাইটিসের টিকাকরণ। অন্য দিকে রয়েছে রুটিন প্রতিষেধক টিকাকরণ। দু’টি বিষয়ই জরুরি। তাই বুধবার ভগবানগোলা ২ ব্লকের নশিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে সকাল সকালই পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু টিকার বাক্স ও কাগজপত্র নিয়ে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়েই ঘটল বিপত্তি। রাস্তায় কোনও গাড়ি নেই। হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে আখরিগঞ্জ মোড়ে ট্রেকার স্ট্যান্ডে কয়েকটি ট্রেকার ছিল বটে। তবে, সেখানে যেতেই চালকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন যাব না দিদি। কোথাও অশান্তি হলে বিপদে পড়তে হবে।’’

Advertisement

শেষে নিরুপায় হয়ে একটি ট্রাক্টর ভাড়া করে ফেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই ট্রাক্টরে উঠে টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছন তাঁরা। ফের সেখান থেকে ট্রাক্টরেই হাসপাতালে ফেরেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাস ধরে ভগবানগোলা ২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে জাপানি এনসেফালাইটিসের টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে। বুধবারেও ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় জাপানি এনসেফালাইটিসের টিকাকরণের সঙ্গে ছিল শিশুদের রুটিন প্রতিষেধক টিকাকরণও। এ দিনই আবার ধর্মঘটের জেরে ভগবানগোলা ২ ব্লকে ট্রেকার, বাস, অটো চলেনি বললেই চলে।

ভগবানগোলা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উৎপল মজুমদার বলেন, ‘‘ধর্মঘট উপেক্ষা করেই স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দেন। কিন্তু গাড়িঘোড়া না চলায় বিপাকে পড়েন তাঁরা। পরে কিছু না পেয়ে ট্রাক্টর ভাড়া করে টিকাকরণ শিবিরে পৌঁছন তাঁরা।’’ ট্রাক্টরে ভগবানগোলা ২ ব্লকের শিবনগরে টিকা দিতে গিয়েছিলেন পুষ্পিতা দাস নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি বলছেন, ‘‘সকলেই টিকাকরণের বাক্স, কাগজপত্র নিয়ে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে দেখি কোনও গাড়ি নেই। তাই বাহন হিসেবে বেছে নিতে হল ট্রাক্টরকেই। অন্য রকম অভিজ্ঞতা হল। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের কর্মসূচিতে কোনও ছেদ পড়ল না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement