রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বললেন সিএমওএইচ। নিজস্ব চিত্র
ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে নওদা গ্রামীণ হাসপাতাল ও বুন্দাইনগর গ্রামে গিয়েছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস। রবিবার সিএমওএইচ-সহ সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকেরা ডেঙ্গি কবলিত রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুন্দাইনগর গ্রামে পৌঁছন। সেখানে রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন সিএমওএইচ। জ্বরে হলেই সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি এলাকার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরে নওদার বুন্দাইনগর-সহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাঁদের অনেকেই আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্ত তিন জন রোগী আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া জ্বর-মাথা ব্যথা নিয়ে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে প্রতি দিন। শনিবারও বেশ কয়েক জন রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলছেন, ‘‘ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই নওদা গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ডেঙ্গি কবলিত গ্রামে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি ভয়াবহ নয়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারও জ্বর হলে দেরী না করে দ্রুত হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা গ্রামবাসীদের জানিয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষাও করাতে হবে, বিষয়টি গ্রামের মানুষদের বুঝিয়ে বলেছি।’’
যদিও নওদা ব্লকের ডেঙ্গি পরিস্থিতির উপরে নজর রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। তার প্রমাণ, প্রায় প্রতি দিনই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলার কোনও না কোনও স্বাস্থ্যকর্তা নওদা ব্লকে আসছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে বুন্দাইনগর গ্রামের মানুষদের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, গ্রাম পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে নজর নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মশার লার্ভা নাশক রাসায়নিক এবং মশা নিধনে ধোঁয়া স্প্রে করার কাজ শুরু করেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। এলাইজা পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।