শিশুর মৃত্যুতে ক্ষোভ, তালা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ মাস দেড়েকের শিশু পূজা মণ্ডলকে নিয়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন তার মা নয়নমণি মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ধুবুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২৪
Share:

মেয়েকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন নয়নমণি। তালা পণ্ডিতপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

এক শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার বিক্ষোভে উত্তাল হল ধুবুলিয়ার পণ্ডিতপুর গ্রামে। ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এ দিন পণ্ডিতপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ মাস দেড়েকের শিশু পূজা মণ্ডলকে নিয়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন তার মা নয়নমণি মণ্ডল। সেখানে তাকে কিছু ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পর তারা বাড়ি ফিরে আসে। সারা দিন ভালই ছিল পূজা। কিন্তু রাত একটা নাগাদ পরিবারের লোকজন দেখে যে, তার কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। বোঝা যায়, মৃত্যু হয়েছে শিশুর। মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়।

যখন কোনও কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না তখনই গ্রামের লোক উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইঞ্জেকশনের কথা জানতে পারেন। এবং তাঁদের একাংশের ধারণা হয়, ইঞ্জেকশন ভুল ছিল বলেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার পরই তাঁরা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

Advertisement

শিশুর মা নয়নমণি মণ্ডল বলেন, “আমার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর সে চোখ বন্ধ করে দেয়। তার পর আর চোখ খোলেনি। তবে খাওয়াদাওয়া করছিল।” পরিবারের দাবি, রাতে নয়নমণিদেবী মেয়েকে বুকের দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে নিজেরাও ঘুমিয়ে পড়েন। রাত একটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন, মেয়ের গা ঠান্ডা

হয়ে আছে।

এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জেলার স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি বিশেষ দল পাঠানো হয় গ্রামে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখে তারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলছেন, “ইঞ্জেকশনে এমন হওয়ার কথা নয়। হতে পারে রাতে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর শ্বাসনালীতে কোনও ভাবে দুধ আটকে গিয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শিশুর দেহের ময়না-তদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement