প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘসূত্রিকার পর হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ শনিবার স্থির হয়েছিল। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সম্ভব হল না সাক্ষ্য গ্রহণ। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পিছিয়ে গেল সেই প্রক্রিয়া।
অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি ছিল, নির্যাতিতার নিকটাত্মীয়দের ভিন্ন দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলে বাকি সাক্ষীরা প্রভাবিত হতে পারেন। আদালতের কার্যবিধির ২৩১ নম্বর ধারা অনুসারে আদালতের কাছে এই দাবি জানান অভিযুক্তের আইনজীবীরা। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। এই আবেদন সংক্রান্ত রায় দান স্থগিত রেখেছেন রানাঘাট এডিজে আদালতের বিচারক সুতপা সাহা।
অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির আইনজীবী বিধান সিকদার বলেন, ‘‘নির্যাতিতার নিকটাত্মীয় অর্থাৎ একই বাড়িতে যে সাক্ষীরা থাকেন, তাঁদের আলাদা আলাদা দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ হলে তারা আলোচনার মাধ্যমে সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে পারে। যা একপ্রকার সাক্ষ্য প্রভাবিত করা বলা যেতে পারে। নির্যাতিতার নিকট আত্মীয়দের জবানবন্দি রেকর্ডের পরই নির্যাতিতার মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে। আমরা এই আবেদন করেছি।’’
গত বছর এপ্রিল মাসে নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। নাবালিকার মৃত্যুর চার দিন পর চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট মহকুমা আদালতে মৃতার মাকে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবীর হিন্দি ভাষায় প্রশ্ন বুঝতে পারেননি মৃতার মা। উল্টো দিকে মৃতার মায়ের বাংলা ভাষায় উত্তর বুঝতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল সিবিআইয়ের আইনজীবীকে। ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি এই ভাষাগত সমস্যার কারণেই মৃতার মায়ের বয়ান রেকর্ড করা যায়নি। সেই সমস্যা মিটিয়ে নির্যাতিতার মায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।