এই শ্মশানেই দাহ করা হয় নির্যাতিতার দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেরোসিন ঢেলে দাহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। পাশাপাশি প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
বগুলার বাসিন্দা ওই নাবালিকার পরিবারের দাবি, গত সোমবার বিকেলে হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা সমর গয়ালির বাড়িতে তাঁর ছেলে ব্রজগোপালের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে ‘অসুস্থ’ হয়ে ফেরে সে। এর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোরবেলা তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, ধর্ষণের জেরে অত্যধিক রক্তপাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয় ওই নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ। ওই দাহকার্যে যে শ্মশানকর্মী যোগ দিয়েছিলেন ঘটনার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছে না। পুলিশও তাঁর সন্ধান করছেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তড়িঘড়ি দাহ করতে নির্যাতিতার চিতায় কেরোসিন তেল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল।
নির্যাতিতার বাড়িতে এখন শ্মশানের স্তব্ধতা ও শোকের পরিবেশ। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ ব্রজগোপালকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন, খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতিতা নাবালিকা হওয়ায় পকসো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা তৃণমূল নেতা সমরও। দেখা মিলছে না তাঁর পরিবারেরও।