রক্তাক্ত যুবক। নিজস্ব চিত্র
রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামের মাঠে পড়ে রয়েছেন তরুণ-তরুণী। আঘাতে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়েছে দু’জনেরই। হাঁসখালির ভাইনা এলাকার মিলননগরে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন গ্রামের মানুষ। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে।
দু’জনকে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তরুণকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। আর তরুণীকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। যুবকের নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। বাড়ি হাঁসখালির ভাইনা এলাকায়। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আর নিহত ওই তরুণীর নাম রত্না মল্লিক। বাড়ি মিলননগরে। তিনি বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বিশ্বজিৎ প্রথমে ছুরি দিয়ে রত্নার পেটে আঘাত করেন, তার পর নিজের পেটেও ছুরি ঢুকিয়ে দেন। যদিও গ্রামবাসীদের একটি অংশের দাবি, প্রথমে বিশ্বজিৎ ছুরি মারেন রত্নার পেটে। সেই অবস্থায় বিশ্বজিৎ-এর হাত থেকে ছুরি কেড়ে রত্নাও পাল্টা বিশ্বজিৎ-এর পেটে ছুরি গেঁথে দেন। এই ঘটনায় পিছনে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বিষয় থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, কলেজে পড়ার সময় দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। শুক্রবার বিকেলে বিশ্বজিৎ মিলননগরে গিয়ে রত্নাকে ফোন করে গ্রামের পাশে মাঠে ডেকে পাঠান। সেখানে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এ দিন বিশ্বজিৎ আগে থেকেই সঙ্গে করে ছুরি নিয়ে তৈরি হয়ে এসেছিলেন। ঝগড়ার মধ্যেই তিনি আচমকা রত্নার পেটে ছুরি চালিয়ে দিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।