বহরমপুরে রাজ্যপাল। নিজস্ব চিত্র।
গোটা দেশে কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেলেও পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অনীহার জন্য সেই টাকা পাচ্ছেন না বাংলার কৃষকরা। বুধবার মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে এই ভাবেই রাজ্যের নিন্দা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর পাল্টা জবাব এসেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও। এ দিন ধনখড়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ধনখড়ের অভিযোগ ভুল। রাজ্য সরকারও চায় কৃষকরা টাকা পাক। তবে সেটা রাজ্যের মাধ্যমেই দিতে হবে।
এ দিন বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন ধনখড়। তবে মূল আক্রমণটাই ছিল বাংলার কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়া নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশের কৃষকরা আজ টাকা পাচ্ছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কোনও কৃষক রাজ্য সরকার রাজি না হওয়ায় কেন্দ্রের টাকা পাননি।’’ এর জবাবে কল্যাণ বলেন, ‘‘সংবিধানের একটুও জানলে আপনি এ কথা বলতে পারতেন না। রাজ্য সরকার বলেছে, রাজ্যের মাধ্যমে টাকা খরচ করতে হবে।’’
ধনখড় বনাম তৃণমূল সংঘাত নতুন নয়। এর আগেও ধনখড়ের বিভিন্ন বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল। এ দিনও তার অন্যথা হল না। নভেম্বরের গোড়া থেকেই দার্জিলিঙে ছিলেন ধনখড়। এ দিন তিনি কলকাতা ফিরছেন। তার আগে বৃহস্পতিবার যান মুর্শিদাবাদে। দার্জিলিং থেকে হেলিকপ্টারে বহরমপুর ষ্টেডিয়ামে নামেন সস্ত্রীক ধনখড়। কিরীটেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজারদুয়ারি ঘুরে দেখেন। শেষে সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।
শুধু কৃষকদের টাকা পাওয়ার ইস্যুই নয়, এ দিন প্রশাসনকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার থেকে রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি সব ইস্যুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করেন ধনখড়। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিজেপির হয়ে কথা বলার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমি কারও লোক নই, আমি সংবিধানের লোক।’’ এ দিন তাঁর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক বা পুলিশ সুপার দেখা করেননি বলেও অভিযোগ করেন ধনখড়।