প্রতীকী ছবি
এক সময়ে শান্তিপুর কলেজে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ছিল দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্টাফরুমে ঢুকে শিক্ষকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে সংবাদ শিরোনামেও গিয়েছিল এক ভাই। খুন-ধর্ষণের অভিযোগও বাদ যায়নি। এ বার আমবাগানের গাছ কাটার চেষ্টা এবং বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল শান্তিপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মাধব সরকারের দুই ছেলে মনোজ এবং মণির বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবারই শান্তিপুর থানায় মনোজ-মণি এবং তাদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে একটি গণস্বাক্ষরিত পিটিশন জমা দিয়েছেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার একটি আমবাগানের গাছ কেটে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে বাধা দিলে মনোজ এবং মণি তাঁদের হুমকি দেয়। রাতের দিকে বোমাবাজিও করে।
এই দুই ভাই শান্তিপুর কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি নেতা। কলেজের এক শিক্ষককে মারধর করে আগ্নেয়াস্ত্র দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল মনোজের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেলগড়িয়া ২ এলাকায় এক বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয়কে ধর্ষণের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। ভোটের পরে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনাতেও তাদের নাম জড়ায়। মনোজকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। বেশ কিছু দিন হাজতবস করে সে ফিরে আসে।
মনোজ অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার দাবি, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবাকে নিয়েই তারা দুই ভাই ব্যস্ত। মনোজের দবি, “গাছ কাটার কোনও ব্যাপারই নেই। আমার একটি আমবাগান আছে। কয়েক জন টাকা চেয়েছিল। দিইনি বলে কয়েক দিন আগে সেখানেই কয়েক জন বোমা ফেলেছে। এখন এ সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমিও পুলিশে অভিযোগ জানাব।”
শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের দল এই ধরনের কাজ প্রশ্রয় দেয় না। যারা মানুষের ওপর নির্যাতন করবে, প্রশাসনকে বলব তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে।”
শান্তিপুরের পুর প্রশাসক, তৃণমূল নেতা অজয় দে-র বক্তব্য, “এটা স্থানীয় স্তরের ঝামেলা। এর সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। আইনশৃঙ্খলার বিষয়, পুলিশ দেখবে।”