দুর্ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল। হাঁসখালিতে। নিজস্ব চিত্র।
গত শনিবার গভীর রাতে হাঁসখালির দুর্ঘটনায় তদন্তে এল ফরেন্সিক দল। মঙ্গলবার স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে চার জনের একটি প্রতিনিধি দল আসে। দলের সদস্যেরা প্রথমে হাঁসখালি থানায় এসে তদন্তকারি পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর থানার সামনেই রেথে দেওয়া শববাহী গাড়িটি পরীক্ষা করেন। এর পর সেই লরিটি পরীক্ষা করে যার সঙ্গে ম্যাটাডোরের মুখোমুখি ধাক্কা লেগেছিল। সেখান থেকে তদন্তকারী দল চলে আসে ফুলবাড়ির ঘটনাস্থলে। তিনটি ক্ষেত্রেই তারা নমুনা সংগ্রহ করেছে।
শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার পারমাদন এলাকা থেকে এক বৃদ্ধার দেহ সৎকার করতে নবদ্বীপ শ্মশানে যাওয়ার পথে হাঁসখালির ফুলবাড়ি এলাকায় শবযাত্রীদের ম্যাটাডোরের সঙ্গে লরির ধাক্কা লাগে। এক শিশু সহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়। চালক-সহ ২৬ জন গুরুতর জখম হন। প্রাথমকি তদন্তে পুলিশ অনুমান, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আহতদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে, মদ খাওয়ার পাশাপাশি টানা গাড়ি চালানোর ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। ম্যাটাডোরের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে যে গাড়িটি প্রচন্ড জোরে চালাচ্ছিলেন চালক। বারবার অত জোরে গাড়ি চালাতে বারণ করা হলেও সে কথা শোনেননি বলে আহত যাত্রীদের দাবি।
তদন্তে নেমে সেই একই কথা বলে গেলেন ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা। তাঁদের মতে, দুর্ঘটনার প্রধান কারণই ছিল অতিরিক্ত গতি।
ফরেন্সিক দলের অন্যতম সদস্য স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর চিত্রাক্ষর সরকার বলেন, “বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখনও নির্দিষ্ট কিছু বলার মতো স্তরে নেই। যথা সময়ে আমরা রিপোর্ট তদন্তকারি সংস্থার হাতে তুলে দেব।” এ দিন দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যাওয়ার আগে গাড়িতে উঠতে-উঠতে ফরেনসির দলের এক সদস্য বলে যান, “আপনারাও বুঝতে পারছেন যে, অতিরিক্ত গতি-ই এর প্রধান কারণ।”