দূরত্ব বিধি উড়িয়ে কাশিমবাজার রাজবাড়ির মাঠে রবিবাসরীয় ফুটবল। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
ঘড়ির কাঁটায় বিকেল চারটে। রবিবারের দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে নিয়ে ভাতঘুম ছেড়ে সকলেই হাজির কাশিমবাজার বড় রাজবাড়ির মাঠে। কানায় শুধুই মানুষের মাথা ভীড় যেন ভেঙে পড়ছে। এই ভাবেই সমস্ত নিয়ম ভেঙে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় হয়ে গেল কাশিমবাজার সাবুবাগান ফুটবল কমিটি আয়োজিত নকআউট ফুটবলের ফাইনাল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। খেলার দিনগুলো মাঠের মধ্যে কাতারে কাতারে মানুষজন এসে ভিড় জমাচ্ছিলেন। তাতে সামাজিক দূরত্ব তো ছিলই না। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্কও ছিল না। সেমিফাইনালের দিন সে খবর ছড়িয়েও পড়ে। কাজেই পুলিশ প্রশাসন সমস্ত কিছু জানার সত্ত্বেও কী করে ফাইনাল হল, সে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই।
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সম্পাদক জগন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ক্লাবগুলো লুকিয়ে এমন খেলা আয়োজন করছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ওই খেলার সম্বন্ধে সমস্ত কিছু জানার পরেও কেন চুপ করে থাকল?’’
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সব কিছু জানার পরও পুলিশ প্রশাসন কীভাবে ওই খেলা চালাতে দিল, এটা সত্যি ভাবনার বিষয়।’’ সাবুবাগান ফুটবল কমিটির সভাপতি শেখর সরকার বলেন, ‘‘সকলেই চেয়েছে ফুটবল খেলা হোক, তাই হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বারণ শোনেননি।’’ বহরমপুর থানার আইসি সনৎ দাস বলেন, ‘‘খেলার জন্য কেউ অনুমতি নেয়নি। উদ্যোক্তারা এই সময় এমন ভাবে খেলার আয়োজন করে ঠিক করেননি। আমরা খতিয়ে দেখছি।’’