Flower Farms Damaged

টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কা ফুল চাষে

চাষিদের একাংশ জানান, শনিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের জেরে অনেক চাষের জমিতে হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধানতলা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:১৯
Share:

জল জমে রয়েছে ফুল চাষের জমিতে। রানাঘাটের পুরাতন চাপড়ায়। ছবি: সুদেব দাস

Advertisement

দু’মাসও বাকি নেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে। অক্টোবরের শুরুতে দুর্গাপুজো। এ দিকে, অগস্টের শেষে টানা বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষিরা। লাভ দূরে থাক, চাষের খরচ কী ভাবে ঘরে তুলবেন, সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ চওড়া হচ্ছে তাঁদের। আবহাওয়ার উন্নতি না-হলে পুজোর সময় চাহিদা মতো ফুলের যোগান দেওয়ায় সমস্যা হবে বলে মনে করছেন ফুল ব্যাবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকে। বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুল চাষে।

জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয় রানাঘাট ১ ও ২ ব্লকে। এ ছাড়াও জেলার ১৮টি ব্লকে পাঁচ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে এ বছর ফুল চাষ হচ্ছে। জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ চাষের ফুল প্রতিদিন হাওড়া, শিলিগুড়ি ও ভিন্ রাজ্যে রফতানি হয়। চাষিদের একাংশ জানান, শনিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের জেরে অনেক চাষের জমিতে হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে। নতুন করে কী ভাবে চাষ শুরু করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। চাষিরা জানান, রজনীগন্ধা ফুল চাষে বিঘা প্রতি ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। আবার গাঁদা ফুল চাষে বিঘা প্রতি খরচ পড়ে ২০ হাজার টাকা। বৃষ্টিতে সেই টাকা মাঠে মারা যাবে।

Advertisement

চাষিদের একাংশ জানান, গত কয়েক বছরে ফুল চাষকে কেন্দ্র করে রানাঘাটের চাপড়া, পূর্ণনগর, নোকারি, ধানতলা, মাঠকুমড়া প্রভৃতি এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সোমবার সকালে বৃষ্টি থামতেই ধানতলার মনসাতলায় জমিতে জমা জল বার করার চেষ্টা করছিলেন ফুল চাষি নীলকণ্ঠ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘পুজোর আগে বাজারে সব রকম ফুলের চাহিদা থাকে। বিঘার পর বিঘা জমিতে জল জমে রয়েছে। ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য এক বিঘা লিজ় নিয়েছি। ওই টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে বুঝে উঠতে পারছি না।’’

পুরাতন চাপড়ার ফুল চাষি বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে গাছের গোড়ায় জল জমে রয়েছে। রোদ উঠলেই গাছের গোড়া পচতে শুরু করবে। ফলে এ বার পুজোয় চাহিদা অনুযায়ী ফুলের যোগান দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’’

জেলার উদ্যানপালন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জমিতে বৃষ্টির জল যাতে না দাঁড়ায়, সেই ব্যবস্থা সবার আগে করা প্রয়োজন। তা হলে ফুল গাছের ক্ষতি কম হবে। চাষ সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য চাষিরা আমাদের সঙ্গে ব্লক অফিসেও যোগাযোগ করতে পারেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement