চলল ট্রেন, থামল বেলডাঙাতেও

এনআরসি ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নামে লালগোলা শিয়ালদহ শাখার লালগোলা, কৃষ্ণপুর, সারগাছি, বেলডাঙা ও রেজিনগর স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। বিক্ষোভের আগুনে পুড়েছিল একের পর এক ট্রেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগোলা ও বেলডাঙা  শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

ট্রেন চালু হতেই চেনা ভিড়। শনিবার বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

অনিশ্চয়তার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় শনিবার ট্রেন চলাচল শুরু হল। এ দিন কৃষ্ণপুর স্টেশন থেকে দু’টি ডাউন ট্রেন চালানো হয়। শিয়ালদহ থেকে এসেছে দু’টি আপ ট্রেনও।

Advertisement

এনআরসি ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নামে লালগোলা শিয়ালদহ শাখার লালগোলা, কৃষ্ণপুর, সারগাছি, বেলডাঙা ও রেজিনগর স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। বিক্ষোভের আগুনে পুড়েছিল একের পর এক ট্রেন। তার জেরে গত শুক্রবার বিকেল থেকে লালগোলা শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল থমকে গিয়েছি। বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ে ঝলসে গিয়েছিল পাঁচটি স্টেশনের সিগন্যালিং সিস্টেমও। কবে চলবে ট্রেন, তা নিয়ে সংশয়ের মাঝেই রেলকর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল— আপাতত ওই পথে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শনিবার সকাল ৮.৪৫ নাগাদ ছুটল প্রথম কৃষ্ণপুর-শিয়ালদহ প্যাসেঞ্জার। রেল সূত্রে জানাগিয়েছে সিগন্যালিং ব্যবস্থা না থাকায় মাঝ রাস্তায় একটু দেরি হলেও যাত্রী নিয়ে নির্বিঘ্নেই শিয়ালদহ পৌঁছিয়েছে ট্রেনটি। এ দিন শিয়ালদহ শাখার ডিআরএম প্রভাস দানসেনা বলেন, ‘‘সাধারন মানুষের সুবিধার্থেই আপাতত দু’টি ট্রেন কৃষ্ণপুর স্টেশন পর্যন্ত যাবে এবং ওখান থেকেই ছেড়ে আসবে।

Advertisement

তবে, এই মুহুর্তে এক্সপ্রেস ট্রেন কৃষ্ণপুরে পাঠানো হচ্ছে না।’’ রেল সূত্রে জানাগিয়েছে, আপ ৩১৭৬৫ শিয়ালদহ কৃষ্ণপুর প্যাসেঞ্জার সকালে কৃষ্ণপুর পৌঁছাবে সকাল ৮.৩৫ মিনিটে। তার পর ওই ট্রেনটিই ডাউন লাইন বরাবর কৃষ্ণপুর থেকে ছাড়বে সকাল ৮.৪৫ মিনিটে। পরবর্তী আপ ৬৩১০৭ শিয়ালদহ কৃষ্ণপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে কৃষ্ণপুর ঢুকবে বিকেল ৩.৫০ নাগাদ ফের ওই ট্রেন কৃষ্ণপুর থকে ছাড়বে বিকেল ৪.৩০ নাগাদ।

ট্রেন চলায়, স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী থেকে হকার সবার মধ্যেই। চওড়া এক মুখ হাসি নিয়ে বহরমপুর স্টেশনে নেমে এক যাত্রী জানাচ্ছেন, ‘‘মনে হচ্ছে পুরনো দিন ফিরল!’’ আর বেলডাঙার হকার শিবপ্রসাদ দাস বলছেন, ‘‘রুটি-রুজি মাঠে মারা গিয়েছিল, আজ ট্রেন চলায় ভরসা পেলাম।’’

তবে বেলডাঙা স্টেশন এমনই ক্ষতিগ্রস্থ যে সেখানে ট্রেন দাঁড়াবে না, বলে মনে করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ট্রেনটি দাঁড়ায়। তবে বেলডাঙা স্টেশনে টিকিট ঘর বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিনা টিকিটেই ট্রেনে চড়তে বাধ্য হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement