এই পায়ের ছাপ দেখে ধন্দ। নিজস্ব চিত্র
সে কি সত্যিই বাঘ, নাকি বাঘের মাসি!
গ্রামের পাশে জঙ্গলে বৃষ্টিভেজা মাটিতে তার থাবার ছাপ। গ্রামের লোকের গা ছমছম। যদিও অনেকেই থাবার ছাপের আকার দেখে প্রশ্ন তুলেছেন। বনদফতরের লোকেরা এসে সেই ছাপ খুঁটিয়ে দেখে জানিয়েছেন, তার মাপ মেরেকেটে ৪ সেন্টিমিটার। বাঘের থাবা এত ছোট হতেই পারে না। দফতরের এক কর্মী এমনও বলেন যে, ‘‘এখন অনেক জায়গায় পাট চাষ হচ্ছে। সেই সব এলাকায় গাছের জন্য অন্ধকার বেশি। এই এলাকা বনবিড়ালোর পছন্দ।’’ তাতে অবশ্য তেহট্টের কুলগাছি গ্রাম স্বস্তি পাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন দু’য়েক আগে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ওই এলাকায় কাজ করছিলেন। তিনি মাঠে হলুদ রঙের ডোরাকাটা একটা জন্তু দেখতে পান। ভয় পেয়ে দৌড়ে গ্রামে গিয়ে সবাইকে জানান। মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের কথায়, ‘‘বুধবার দুপুরে বারকিমারা মাঠে চাষের কাজে গিয়েছিলাম। সেখানে চারিদিকে পাট হয়েছে। সেখানে হঠাৎ দেখি, কিছুটা দূরে একটি জন্তু দাঁড়িয়ে। ভাল করে দেখে বুঝতে পারলাম, শিয়াল নয়। গায়ে হলুদ রঙের ডোরাকাটা দাগ! প্রাণ শুকিয়ে গিয়েছিল। আর দাঁড়াইনি। প্রাণের ভয়ে দৌড়তে শুরু করি মাঠের মধ্যে দিয়ে। গ্রামে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে প্রথমে একটা বাক্য বলতে পেরেছিলেন— ‘‘যেন হলুদ ডোরা দেখলাম!’’
বৃহস্পতিবার তেহট্ট থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এ দিন পুলিশ এলে গ্রামের লোক তাদের সঙ্গে নিয়ে ওই মাঠে যান। স্থানীয় বাসিন্দা অঙ্কুরর বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পর থেকে আতঙ্কে আছি।আজকাল তো যেখানে-সেখানে বাঘ পাওয়া যাচ্ছে!’’ আরেক বাসিন্দা মানব বিশ্বাসের কথায়, ‘‘বিষয়টি জেনে ভয় করছে বটে, তবে যে থাবার ছাপ মাটিতে রয়েছে সেটা বাঘের না-ও হতে পারে। বনবিড়ালের হতে পারে।’’ যে জন্তুর পায়ের ছাপ মাটিতে রয়েছে তা দেখে তাদের বাঘ বলে মনে হয়নি বলে জানিয়েছে তেহট্ট থানার পুলিশ।