Nabadwip

চোখের সামনে মাকে খুন! একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছেলের সাক্ষ্যে বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নবদ্বীপে

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবন ও কামনা সরকারের দুই সন্তান। ছেলে বঙ্কিম ও মেয়ে রিয়া। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মাকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছিল নাবালক পুত্র। একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল নবদ্বীপ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দেবব্রত কুন্ডু এই রায় দেন।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবন ও কামনা সরকারের দুই সন্তান। ছেলে বঙ্কিম ও মেয়ে রিয়া। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। সেই অশান্তির জেরে কামনা স্বামীকে ছেড়ে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। মৃত্যুর ঘটনার ২০-২৫ দিন আগে কামনা স্বরূপগঞ্জে তাঁর দাদার বাড়িতে ফিরে আসেন। ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর যখন কামনা বাড়ির থেকে কিছুটা দূরের কলে ছেলেকে স্নান করাচ্ছিলেন, সেই সময় জীবন এসে স্ত্রীর গলার নলি কেটে দেন। ঘটনাস্থলেই কামনা মারা যান। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিল বঙ্কিম। তার সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আদালত জীবনকে দোষী সাব্যস্ত করে। অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।

শাস্তি ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে বঙ্কিম। সে বলে, ‘‘চোখের সামনে মাকে খুন হতে দেখেছিলাম। এত দিন পর হয়তো মায়ের আত্মা শান্তি পাবে।’’ আসামি পক্ষের আইনজীবী ষষ্ঠীভূষণ পাল বলেন, ‘‘অভিযুক্তের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় লিগাল এইড থেকে আমাকে আইনজীবী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement