কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগরে মিছিল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইন ও বিদ্যুত আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে এবং একইসঙ্গে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এ বার দেবগ্রামের সাধারণ মানুষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসতে চলেছেন। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই অবস্থান-ধর্নার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে।
আজ, মঙ্গলবার বিকাল তিনটের সময়ে ধর্না মঞ্চের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার বিকালে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। ওই অবস্থান মঞ্চের উদ্যোক্তারা হলেন এলাকার মানুষ। তাঁরা মূলত এলাকার সাধারণ পরিবারের চাষি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা।
কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, দেবগ্রামের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি-সহ বিদ্যুৎ আইনের বিরোধিতা করা হবে। মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কৃষক সংহতি ধর্না মঞ্চ’। সোমবার ওই ধর্নামঞ্চের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের অন্যতম মহিউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই কৃষি আইন যত দিন না প্রত্যাহার হচ্ছে, আমরা আনন্দোলন চালিয়ে যাব। এটি একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। যে কেউ আসতে পারে আমাদের সঙ্গে।’’
এই সেই ধর্না মঞ্চ, যেখান থেকে গত বছর এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে দিল্লির শাহিনবাগ ও কলকাতার পার্কসার্কাসের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধ ভাবে কেন্দ্র সরকারের প্রতিবাদে এলাকার মানুষকে নিয়ে ধর্নামঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছিল। এবার কৃষক আন্দোলনেও দেশের অন্য প্রান্তের চাষিদের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে এই ধর্নামঞ্চ থেকে, এমনটাই দাবি এর কর্মকর্তাদের।
দিন কয়েক আগে কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগরেও একই ভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ওই আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার এই জেলার কালীগঞ্জের দেবগ্রামের সাধারণ মানুষ ও চাষিরা একজোট হয়ে প্রতিবাদে নামার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।
দেবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা তথা ওই এলাকার বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘এই আন্দোলন সম্পূর্ণ বেআইনি। কৃষি আইন চাষিদের ভালর জন্যই মোদী সরকার করেছে। এতে চাষিদের লাভ হবে। এই আইনের বিরুদ্ধে যারা ধর্না বা পথে নামছে, তাদের ধিক্কার জানাই।’’