শিবির করে জাল প্যানকার্ড, আটক

এর পর পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শনে যান বিডিও। উপযুক্ত কাগজ দেখাতে না পারায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে মোট পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

Advertisement

সাগর হালদার 

তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৪১
Share:

ঘটনাস্থলে গ্রামবাসীদের জটলা। নিজস্ব চিত্র

ভারত-বাংলাদেশে লাগোয়া অঞ্চলে বসেছিল টাকা নিয়ে জাল প্যান কার্ড বানানোর শিবির। এলাকার মানুষের থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার তেহট্ট ১-এর বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এর পরেই শিবির থেকে সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে আটক করে তেহট্ট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বিডিও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তেহট্ট থানার বেতাই সাধুবাজার, মুক্তদহপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় এমন ধরনের ক্যাম্প বসেছিল। কারও থেকে ১২৫, আবার কারও থেকে ২০৫ টাকা নেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি ছিল, এর বিনিময়ে মিলবে প্যান কার্ড। মুক্তদহ গ্রামের ক’জনের বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এই কাজের যথাযথ প্রশাসনিক অনুমতি আছে কি না, সেই কাগজ দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু ওই ক্যাম্প থেকে শুধুমাত্র তেহট্ট ১ বিডিওর সিল বসানো ও সই করা একটি কাগজ দেখানো হয়। এর পরেই গ্রামবাসীরা বিডিও অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, এই ধরনের কোনও অনুমতিপত্র বিডিও দেননি।

এর পর পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শনে যান বিডিও। উপযুক্ত কাগজ দেখাতে না পারায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে মোট পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

এ দিন তেহট্ট ১ বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক বলেন, ‘‘বেশ ক’জন স্থানীয় এই বিষয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই। উপযুক্ত কাগজ দেখাতে পারেনি। সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ হচ্ছিল। পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত সকলের বাড়ি বর্ধমান জেলার কালনা এলাকায়।

মহকুমাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘২০১৫ সালে এমন একটি অনুমতি সরকারের পক্ষ থেকে একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেতাই-এ প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তেরা নকল কাগজ দেখিয়ে জাল প্যান কার্ড তৈরির কাজ চালাচ্ছিল। বিডিও সেখানে যান এবং ওদের বিরুদ্ধে তেহট্ট থানার অভিযোগ করেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ গ্রামবাসীদের দাবি, বেতাই এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিল জালিয়াতেরা। পাঁচ থেকে সাতটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছে। এর আগে ছিটকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তারা এই কাজ করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement