Fake caste certificate

ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে প্রধান পদ ‘দখল’! বাতিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র

ভোটে পরাজিত বাম প্রার্থী মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, তৃণমূল প্রার্থী ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরি করিয়ে এই পদে লড়াই করেছেন। তার পরেই তদন্তে নামে প্রশাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১১:১৩
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে ভোটে জিতে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন। এই অভিযোগ ছিল পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর কাছে পরাজিত বাম প্রার্থীর। অভিযোগ খতিয়ে দেখে জেলাশাসকের কাছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের কুসুম সাহার জাতিগত শংসাপত্র বাতিলের সুপারিশ করলেন মহকুমা শাসক। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান।

Advertisement

ফরাক্কার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ নম্বর সংসদ থেকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) সংরক্ষিত আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে পঞ্চায়েতে লড়েন কুসুম সাহা। ফল বেরোলে দেখা যায়, কুসুমের কাছে পরাজিত হয়েছেন বামপ্রার্থী হিমাংশুশেখর সাহা। ওবিসি সংরক্ষিত আসনটিতে জিতে প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন কুসুম। এর পরেই কুসুমের জাতিগত শংসাপত্রের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহকুমা শাসকের কাছে নালিশ করেন হিমাংশুশেখর। স্থানীয় সূত্রের খবর, কুসুমের আদি বাড়ি বিহারে। ফরাক্কার নারায়ণ সাহার সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই তিনি বাংলার বাসিন্দা হন। বামেদের অভিযোগ, জাতিগত শংসাপত্রের নিয়মানুযায়ী নারায়ণের এক ভাই ভবেশকে ‘নিজের ভাই’ বলে পরিচয় দিয়ে কুসুম ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করান। ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য জমা দেওয়া নথিতে ভবেশের বাবার নাম হিসাবে উল্লেখ রয়েছে কালীপ্রসাদ সাহার নাম। যদিও অন্যান্য সরকারি পোর্টালে ভবেশের বাবার নাম উল্লেখ রয়েছে ক্ষিতীশচন্দ্র সাহা। এই অসঙ্গতির উল্লেখ করে মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী হিমাংশুশেখর। প্রশাসন সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেন মহকুমাশাসক। কুসুমকে শংসাপত্রটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে দেখা যায়, শংসাপত্রের মেমো নাম্বারটির কোনও অস্তিত্বই নেই। শংসাপত্রটি বাতিলের সুপারিশ করে জেলাশাসকের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন মহকুমাশাসক। সূত্রের খবর, নথি জাল করে শংসাপত্র তৈরি এবং সংরক্ষিত আসন দখলের অভিযোগে কুসুমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে প্রশাসন।

অভিযোগকারী হিমাংশুশেখর সাহা বলেন, ‘‘এক জন বিহারের বাসিন্দা এ রাজ্যে বৈবাহিক সূত্রে এলেও তাঁর ওবিসি কার্ড হবে না। কারণ, তিনি এ রাজ্যের ওবিসি নন। এ রাজ্যে তিনি অসংরক্ষিত হিসেবেই বিবেচিত হবেন। তাই এখানকার স্থানীয় এক জনকে নিজের ভাই পরিচয় দিয়ে অবৈধ সার্টিফিকেট তৈরি করিয়েছেন। এটা ফৌজদারি অপরাধ। ওঁর জেল হওয়া উচিত।’’ কুসুম সাহা বলেন, ‘‘শুনেছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমার কার্ড বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। কোনও চিঠি পায়নি। যদি সত্যিই এমনটা হয়, আমি আদালতে যাব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement