‘তা বলে আমাকেও বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দিতে হবে!’

দিনটা কখনও ভুলতে পারি? ১৮ অগষ্ট ২০১৬, বুধবার। আমি দুই বন্ধুর সঙ্গে নওদার এলামনগরের বাড়ি থেকে চাঁদপুর পঞ্চায়েতে যাচ্ছিলাম। ওবিসি সার্টিফিকেটটা খুব দরকার ছিল , ওই দিনই না গেলে হবে না।

Advertisement

আয়েসা খাতুন

নওদা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৭
Share:

দিনটা কখনও ভুলতে পারি? ১৮ অগষ্ট ২০১৬, বুধবার। আমি দুই বন্ধুর সঙ্গে নওদার এলামনগরের বাড়ি থেকে চাঁদপুর পঞ্চায়েতে যাচ্ছিলাম। ওবিসি সার্টিফিকেটটা খুব দরকার ছিল , ওই দিনই না গেলে হবে না।

Advertisement

পঞ্চায়েতের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়াল জিৎপুরের সেই ছেলেটা, রাকিবুল শেখ। পকেট থেকে কি একটা বের করল, বুঝিইনি। তারপর কি যেন ছুঁড়ল, আমি ভাবলাম জল ছুঁড়ল। হাতটা উঠে এল মুখে। আর তখনই বুঝলাম মুখটা ভিষণ জ্বলছে। ছটফট করছিলাম। কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না। ভর দিনের বেলায় যেন, রাত নেমে এল। রাকিবুল অনেক দিন ধরেই বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিল। তা বলে, আমাকেও সাড়া দিতে হবে! ঘটনার পর নওদা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে করুণা করে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল! সে টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম কলকাতায় চিকিৎসা করাতে। তা, খরচের যা বহর শুনলাম মাথা ঘুরে গেল। চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরে এলাম বাড়ি। এখনও শরীরে জ্বালা কমেনি। মাঝে মাঝেই শরীরে টান ধরে। এই মুখ নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছি। শুনেছিলাম, ডোমকলের যে দোকান থেকে রাকিবুল অ্যাসিড কিনেছিল, সেই দোকানের মালিকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাকে অ্যাসিড মারার আগে, যদি পুলিশ একটু কড়া হত!

আরও পড়ুন: আবার প্যাঁচে অ্যাপোলো, রোগী মৃত্যুতে নেয়নি ব্যবস্থা

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement