প্রতীকী ছবি।
চোলাইয়ের পাশাপাশি বেআইনি মদ ও মাদক দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে নদিয়া জেলায় সাতটি ‘স্টেশন’ চালু করছে আবগারি দফতর।
দফতরে কর্মী ও পরিকাঠামোর অভাবের কথা বারবার বলে এসেছেন আধিকারিকেরা। এ বার এই স্টেশনগুলি চালু হয়ে গেলে নজরদারি অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। জেলা আবগারি দফতরের সুপার সৌরভ ভদ্র বলছেন, “প্রাথমিক ভাবে সাতটি স্টেশন তৈরির নির্দেশিকা আমরা পেয়েছি। এ বার তার জন্য পরিকাঠামো তৈরি শুরু হবে।” নদিয়া জেলায় আবগারি দফতরের সার্কেল সংখ্যা ১৩টি। ব্যারাক রয়েছে ৯টি। এই ১৩টি সার্কেলের মধ্যে কল্যাণী, রানাঘাট, শান্তিপুর, তাহেরপুর, কৃষ্ণনগর সদর, কালীগঞ্জ ও করিমপুর সার্কেলগুলিকে স্টেশনে উন্নীত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইমতো রাজ্য সরকারের থেকে নির্দেশিকাও বের হয়েছে।
দফতর সূত্রের খবর, স্টেশনগুলি হবে পুলিশের থানার মতো। সেখানে ওসি থাকবেন। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি অফিসার থাকবেন। যে কোনও সময়ে তল্লাশি বা অভিযানে বের হতে পারবেন তাঁরা। এখন যা পরিকাঠামোর অভাবে সম্ভব হয় না। নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি স্টেশনে থাকবেন তিন জন করে সাব ইনস্পেক্টর, ছ’ জন করে এএসআই ও ২১ জন কনস্টেবল। এর মধ্যে মহিলা কনস্টেবলও থাকবেন। অভিযানে যাওয়ার গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে ১৩টি সার্কেলের অফিসার ও কনস্টেবলেরা থাকেন ৯টি ব্যারাকে। রাতে পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া অভিযান চালানোর দরকার হলে কর্মী ও গাড়ি জোগাড় করতেই অনেকটা সময় পার হয়ে যায়।