তাকে ছেড়ে তারই এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল সমশেরগঞ্জের কিশোরী মঞ্জিলা খাতুন। সহ্য করতে পারেনি পুরনো প্রেমিক। তারই শোধ তুলতে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্জিলাকে ধর্ষণ করে খুন করে সে। মঞ্জিলা খুনের মূল অভিযুক্ত মতিন শেখকে গ্রেফতার করে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
সমশেরগঞ্জের ধানঘরার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী মঞ্জিলা হাত-পা বাঁধা দেহ মেলে বাড়ি থেকে দেড় কিমি দূরে ধুলিয়ানের বাসুদেবপুরে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মতিনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের দাবি, সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত। মতিনের সঙ্গে ছিল তারই এক বন্ধু। সেও শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল মঞ্জিলা। প্রথম থেকেই পুলিশের ধারণা ছিল মঞ্জিলার খুব পরিচিত কেউ তাকে খুন করেছে। তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, মতিন শেখের সঙ্গে ওই কিশোরীর সম্পর্কের ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে সুতির কাশিমনগরে তার বাড়ি থেকে তাকে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সন্ধ্যায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের কথা কবুল করে সে।
মতিন পুলিশকে জানিয়েছে, এক সময় তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। কিন্তু কিছুদিন আগে মতিনেরই এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। ইদানিং মতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল না সে। মতিন কিছুদিন ধরে টাকা এবং দামি উপহারের টোপ দিচ্ছিল ওই কিশোরীকে। সম্ভবত সেই লোভেই রবিবার বাড়ি ছাড়ে কিশোরী। মতিনই কিশোরীকে বাসুদেবপুরে একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার এক বন্ধু ছিল। তার পরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হাত, পা বেঁধে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়। তার এক বন্ধুর নাম পুলিশকে নামও পুলিশকে জানিয়েছে মতিন। যদিও মতিনের সব কথা পুলিশ বিশ্বাস করছে না। তাকে জেরা করা হবে।