ভোটে যাননি ৭৪৮ কর্মী

গত ২৩ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা আসনের পাশাপাশি মালদহ দক্ষিণ আসনের আওতায় থাকা ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জ এলাকায় নির্বাচন হয়েছে।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০১:৪৭
Share:

সামনে উপ-নির্বাচন: চলছে প্রশিক্ষণ। মঙ্গলবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

অ্যাকাউন্টে ভাতা হিসেবে প্রাপ্য টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় দু’দফার ভোট পর্ব শেষ হতে দেখা যায় ৭৪৮ জন ভোটকর্মী ভোটের কাজে গরহাজির ছিলেন। আর সেই কারণে গত সপ্তাহে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে মুর্শিদাবাদে জেলা নির্বাচন দফতর। একই সঙ্গে ভাতা বাবদ পাঠানো টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে গরহাজির ভোটকর্মীরা প্রশাসনের দেওয়া নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ভাতা বাবদ পাওয়া টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া শো-কজের উত্তরও আসতে শুরু করেছে। তাঁদের উত্তর সন্তোষজনক না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলেন, ‘‘দু’দফার ভোটে ৭৪৮ জন ভোটকর্মী কাজে যোগ দেননি। সরকারি কাজে যোগদানে অবহেলা করার জন্য তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।’’

Advertisement

গত ২৩ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা আসনের পাশাপাশি মালদহ দক্ষিণ আসনের আওতায় থাকা ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জ এলাকায় নির্বাচন হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৯ এপ্রিল বহরমপুর কেন্দ্রের নির্বাচন হয়েছে। ভোটকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণের চিঠি হাতে পেতেই সরকারি কর্মীদের অনেকেই নানা ‘অজুহাতে’ ভোটের অব্যাহতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। যাঁরা ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

জেলার তিনটি আসনের জন্য ২৭ হাজার ৪০০ ভোটকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। শেষ প্রশিক্ষণের আগে ভোটকর্মীদের অ্যাকাউন্টে ভাতা হিসেবে প্রাপ্য টাকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রিসাইডিং অফিসারে জন্য ২২৭০ টাকা, প্রথম পোলিং অফিসারের জন্য ১৪২০ টাকা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারের জন্য ১১২০ টাকা ভাতা হিসেবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। কিন্তু ভোটকর্মী হিসেবে তিনটি প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং তাঁদের অ্যাকাউন্টে ভাতা বাবদ টাকা যাওয়া সত্ত্বেও ৭৪৮ জন ভোটকর্মী ভোটের দিন ডিসি-আরসিতে অনুপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এত জন ভোটকর্মী সে দিন অনুপস্থিত থাকলেও ভোটের কাজে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু তাঁদের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অন্য দিকে, আগামী ২০ মে নওদা ও কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন। নওদার ২৬৭টি বুথে এবং কান্দির ২৫০টি বুথে সে দিন ভোট নেওয়া হবে। দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের জন্য ২৫০০ ভোটকর্মীর প্রয়োজন। গত তিন দিন ধরে বহরমপুরে কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে জেলার ওই দু’টি কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের জন্য ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের শেষ দিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement