—প্রতীকী চিত্র।
শনিবার থেকেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল ফেরিঘাট এলাকায়। পচা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি তাঁরা খবর দেন শান্তিপুর থানায়। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর রবিবার বেলা তিনটে নাগাদ বড়বাজার ফেরিঘাট এলাকা থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। অজ্ঞাত পরিচিত সেই দেহের শনাক্ত করার পরই ধাক্কা। ২ দিন আগে ভাইকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রবীণ প্রামাণিক নিখোঁজ ছিলেন। তাঁরই দেহ পাওয়া গেল ভাগীরথীতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মৃতের স্ত্রী দেহ শনাক্ত করেছে। সোমবার ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রবীণ তাঁর ভাই উত্তমকে ফোন করে বাড়িতে ডাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ দাদার কাছে যান তিনি। পরিবারের দাবি, ১০টার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন বলেছিলেন। কিন্তু না ফেরার জন্য তাঁরা ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। উত্তমকে ফোনে না পেয়ে সোজা দাদার বাড়িতে চলে যান উত্তমের স্ত্রী। তিনি গিয়ে দেখেন গোটা বাড়ি শুনশান। বাড়ির মূল দরজায় তালা ঝুলছে। কিন্তু ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়েই সংজ্ঞা হারান উত্তমের স্ত্রী। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে আছে তাঁর স্বামী।
তদন্ত নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই ভাইকে খুন করে পালিয়েছেন দাদা। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছিল। তার মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় বড়বাজার ফেরিঘাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর পচাগলা দেহ। এ নিয়ে রানাঘাটের পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে, ভাইকে খুন করার অনুশোচনা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন দাদা। দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ পুরো গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।’’